রবিবার সকালে বোলপুরে SDPO অফিসে হাজিরা দিতে এলেন না অনুব্রত মণ্ডল। সকাল ১১টা নাগাদ তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। তাঁর বদলে SDPO অফিসে এলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা গগন সরকার। তিনি কেষ্ট ঘনিষ্ট হিসেবেই পরিচিত। আর এসেই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তিনি। তৃণমূলের ওই নেতার দাবি, 'অনুব্রত মণ্ডল কোনও ফোন কল করেননি। AI-এর মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে'!
এখানেই শেষ নয়। ওই তৃণমূল নেতা জানান, অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে অসুস্থ এবং বাড়িতে বেড রেস্টে রয়েছেন। সেক্ষেত্রে দলের কাছে দুঃখপ্রকাশ করার পরও কেন কেষ্ট SDPO অফিসে হাজিরা দিলেন না? সত্যিই যদি এই ঘটনা AI-এর মাধ্যমে হয়ে থাকে, তবে কেন এই ঘটনার জন্য দলের কাছে দুঃখপ্রকাশ করলেন অনুব্রত মণ্ডল? বীরভূমের তৃণমূল নেতার বক্তব্য, 'অনুব্রত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের অনুগত সৈনিক। তাই দল যা নির্দেশ দিয়েছে সেই অনুযায়ী ক্ষমা চেয়েছেন'। বীরভূমের প্রাক্তন জেলা সভাপতি কেষ্ট বিতর্কিত ফোন কল নিয়ে দলের নির্দেশে ক্ষমা চাইলেও তা BJP-J চক্রান্ত হিসেবেই দেখছেন বলে স্পষ্ট করে দেন এই নেতা।
বোলপুর থানার আইসিকে কদর্য ভাষায় আক্রমণের ঘটনায় যখন সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন বীরভূমের কেষ্ট। তখন তাঁর ঘনিষ্ঠের মুখে AI তত্ত্ব। তবে কি নিজের সেই 'ভয়ঙ্কর খেলা' শুরু করে দিলেন অনুব্রত মণ্ডল? আপাতত পুলিশের স্ক্যানারে তিনি। দ্বিতীয় নোটিসে সাড়া না দিলে পুলি তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কেষ্ট ঘনিষ্ঠের বিস্ফোরক দাবিতে তৃণমূল কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাই এখন দেখার।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, গ্রেপ্তারির মতো কঠোর কোনও পদক্ষেপের পথে হাঁটতে পারে পুলিশ? নাকি আজও হাজিরা এড়িয়ে সোমবার কোর্ট খুললে আগাম জামিনের জন্য আবেদন জানাতে চলেছেন কেষ্ট? হাজিরা এড়ানোর পর কেন পুলিশ তাঁর বাড়িতে গেল না, কেনই বা এখনও কেষ্টর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হলো না, সে সব প্রশ্ন তুলছেন BJP নেতারা।