Anubrata Mondal: অন্য অনুব্রত। গুড় বাতাসা, নকুলদানা, পাঁচন... কিছুই নেই। বরং এক মোলায়েম সুর। ভালবেসে, মিলেমিশে কাজের বার্তা দিচ্ছেন। কে বলবে, এটাই সেই দাপুটে অনব্রত মণ্ডল!
দুবরাজপুরের বিজয়া সম্মিলনীতে অনুব্রত মণ্ডলকে একেবারে নতুন রূপে দেখা গেল। আগে দলীয় সভায় অনুব্রত মানেই ঝাঁঝালো ভাষা। বিরোধীদের প্রতি তোপ দাগতেন, দলের লোকেদেরও রাখতেন কড়া ডিসিপ্লিনে। কিন্তু এবার সেসবের বালাই নেই। বক্তব্য় রাখতে উঠে আগাগোড়াই শান্তির বার্তা দিলেন। নিজের গড়, খয়রাশোল-দুবরাজপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বললেন – 'কাউকে মিথ্যা কথা বলে গাছে উঠিয়ে মই কেড়ে নেবেন না।নিজেদের স্বার্থে দলের নেতা কর্মীদের কাউকে আঘাত করবেন না।'
কেষ্ট বলেন, 'নিজের স্বার্থে দলের কারও সঙ্গে অশান্তি করবেন না। সবাইকে সম্মান দেখাবেন।' দল নির্বিশেষে কাজ করারও বার্তা দিলেন অনুব্রত। বললেন, 'কোনও মানুষ যদি কাজ করতে চায় তার সঙ্গে বসবেন। কোন দল করে দেখবেন না। তাঁকে অপমানজনক কথা বলবেন না। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। কেন আপন করতে পারব না? খ্যাঁক খ্যাঁক করবেন না।।' এমনকি দলের প্রার্থী ও সমর্থকদেরও তিনি অন্যকে আঘাত না করে একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চা খাইয়ে মানভঞ্জনের প্রক্রিয়াটা কারও অজানা নয়। সেই একই বার্তা দিচ্ছেন অনুব্রতও।বললেন, ‘আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। কেন আপন করতে পারব না? সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।’ এরপরেই বলেন, 'খ্যাকঝাক করবে না কাউকে বকা দিলে কাছে ডেকে চা খাওয়াবেন। পঞ্চায়েতের মেম্বার হলে আপনি সেই এলাকার গার্জেন। আপনি কাউকে বকে ফেললে, কাছে ডাকবেন আর এক কাপ চা খাইয়ে দেবেন।'
এক নজরে কেষ্ট-কথা