Advertisement

Arjun Singh: নেপালের মতো বাংলাতেও উচিত, BJP-র অর্জুনের 'উস্কানি', একাধিক থানায় FIR

নেপালের মতো গণঅভ্যুত্থান হওয়া উচিত এরাজ্যে। বাংলার ছেলেমেয়েদেরও এভাবেই সাহজ দেখানো উচিত। অর্জুন সিংয়ের এহেন মন্তব্যের জেরে তাঁর নামে একাধিক FIR দায়ের করা হয়েছে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বিভিন্ন থানায়। ঠিক কী বলেছিলেন তিনি?

অর্জুন সিং অর্জুন সিং
Aajtak Bangla
  • ব্যারাকপুর ,
  • 11 Sep 2025,
  • अपडेटेड 9:07 AM IST
  • অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে একাধিক FIR
  • তাঁর বিরুদ্ধে উস্কানি ছড়ানোর অভিযোগ
  • নেপালের মতো পরিস্থিতি বাংলাতেও হোক, চাইছেন প্রাক্তন সাংসদ

নেপালের মতো পরিস্থিতি বাংলাতেও তৈরি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে ফাঁসালেন BJP-র প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় দায়ের হল FIR। তৃণমূল সংসদ পার্থ ভৌমিকের নির্দেশে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বিভিন্ন থানায় মামলা রুজু হয়েছে অর্জুনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, উস্কানি দিয়ে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীকেও খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

কী বলেছিলেন অর্জুন সিং?
নেপাল সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুবসমাজ যেভাবে গর্জে উঠেছে তা বড় উদাহরণ এবং বাংলায় এমনই গণ অভ্যুত্থান প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছিলেন অর্জুন  সিং। তিনি বলেন, 'নেপালের ১৮ থেকে ৩০ বছরের তরুণ-তরুণীরা যে সাহস দেখিয়েছে, তা বাংলার ছেলেমেয়েদেরও দেখানো উচিত।' 

এই মন্তব্য প্রসঙ্গে পার্থ ভৌমিক বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের চক্রান্ত করছেন অর্জুন সিং।' আর তাই ব্যারাকপুর কমিশনারেটের একাধিক থানায় অর্জুন সিংয়ের নামে পুরসভার কাউন্সিলররা একের পর এক অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও FIR নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ BJP নেতা। নিজের বক্তব্যে তিনি অনড়। তাঁর কথায়, 'আবারও বলছি এই বাংলায় গণ অভ্যুত্থান করে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার ফেলে দেওয়া উচিত।'

এদিকে, জেন জি আন্দোলনের আঁচে এখনও জ্বলছে নেপাল। সেখানে আটকে পড়েছেন একাধিক বাঙালিও। তাঁদের আশ্বাস দিয়ে রাজ্যে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তিনি বুধবার বিকেলে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের সচিবালয় উত্তরকন্যায় পৌঁছন। জানান, যতক্ষণ না পর্যন্ত নেপালের পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হচ্ছে, ততক্ষণ শিলিগুড়িতেই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। 

মমতার সতর্কবার্তা

তবে অর্জুন সিংয়ের নাম না করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উস্কানিমূলক মন্তব্য নিয়ে সকলকে সতর্ক করেছেন। বিরোধীদের বিঁধে তিনি বলেন, 'পড়শি দেশে অশান্তির সুযোগে অনেকে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়বে। এ রাজ্যে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করতে পারে। তার জন্য রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে। এই অবস্থায় কেউ কেউ ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইবে। আমি বলব সতর্ক থাকতে।'

মুখ্যমন্ত্রীকে আবার পাল্টা নিশানাও করেছে BJP রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'নেপালের থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত অনেক বেশি লম্বা। ২ হাজার ২০০ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ। মুখ্যমন্ত্রী যদি একটু সেদিকে নদর দেন, তাহলে খুব ভাল হয়। কারণ, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলির জনবিন্যাস দ্রুত বদলে যাচ্ছে।'

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement