বাংলার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৬-এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM)। সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দলের পশ্চিমবঙ্গ ইউনিটের প্রধান ইমরান সোলাঙ্কি নিশ্চিত করেছেন যে, আগামী নির্বাচনের জন্য সংগঠন শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তাঁরা সদস্যতা অভিযান শুরু করেছে।
২০২১-এর ধাক্কা পেরিয়ে নতুন লক্ষ্য
ইমরান সোলাঙ্কি স্পষ্ট করেছেন যে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল না পেলেও আমিম এবারও পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তিনি বলেন, 'আমরা বাংলায় নির্বাচনে লড়ব। ২০২১ সালে লড়েছি, পঞ্চায়েত নির্বাচনেও লড়েছি এবং ২০২৬ সালেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।'
‘ভোট কাটার’ নয়, গণতন্ত্রে প্রতিটি দলের অধিকার
তৃণমূল-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ, আমিম ভোট কাটার ভূমিকা পালন করছে, যা বিরোধীদের সুবিধা দেয়। তবে সোলাঙ্কি এই অভিযোগ খারিজ করে বলেন, 'আমরা ভোট কাটার নই। তৃণমূল ত্রিপুরা ও গোয়ায় লড়েছে, কিন্তু ফলাফল শূন্য। একইভাবে, দিল্লিতে কংগ্রেস ২২টি আসনে পরাজিত হয়েছে। আমরা একটি রাজনৈতিক দল, তাই নির্বাচনে লড়াই করব।'
শক্তিশালী আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিকল্পনা
আমিম নেতারা জানিয়েছেন, তারা রাজ্যের ২৯৪টি আসনের দিকে নজর রাখছেন। তবে যেখানে তাদের সাংগঠনিক ভিত্তি শক্তিশালী, সেই আসনগুলোতে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ
সোলাঙ্কি দাবি করেছেন, কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু প্রাক্তন বিধায়ক আমিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। যদিও দলের চূড়ান্ত নির্বাচনী পরিকল্পনা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন এআইমিম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি।
সদস্যতা অভিযান জোরদার
২০২৬-এর নির্বাচনের আগে বাংলায় সংগঠন বিস্তারের লক্ষ্যে আমিম সদস্যতা অভিযান শুরু করেছে। দলটি বিশ্বাস করে, বাংলার সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষের সমর্থন আদায় করতে পারলে তারা উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেতে পারে।