রায়গঞ্জে ৫০,০৭৭ ভোটে জয়ী হলেন তৃণমূলের কৃষ্ণ কল্যাণী। পরাজিত বিজেপি প্রার্থী মানসকুমার ঘোষ। এর আগে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে জিতেছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। পরে তিনি তৃণমূলে চলে যান। ২০২৪ সালে রায়গঞ্জ লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়ে হেরে যান কৃষ্ণ কল্যাণী। বিজেপির কার্তিক পালের কাছে হেরে গিয়েছিলেন তিনি।
তারপরেও উপনির্বাচনে তাঁকেই প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। শেষমেশ রায়গঞ্জে শেষ হাসি হাসলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। জেতার পর কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, 'সরকারের ৭৪টা প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন মানুষ। তারই ফল এই বিপুল মার্জিনে জয়। প্রায় ৫০ হাজার ভোটে মানুষ আমাকে জিতিয়েছেন। আমি একই রকম ভাবে কাজ করে যাব। এটা জনাদেশ। ভোটের ফলই বলে দিয়েছে মানুষ বিজেপিকে চায় না।'
উল্লেখ্য, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। লোকসভার মনোনয় পত্র জমা দেওয়ার আগেই তিনি বিধায়ক ও পিএসসি চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সেই কারণেই বিধায়ক শূন্য রায়গঞ্জে উপনির্বাচন হয়। লোকসভায় হেরে যাওয়ার পর বিধানসভা উপনির্বাচনে কৃষ্ণ কল্যাণী ফের প্রার্থী হন। আর তাঁর হাত ধরেই সবুজ হল রায়গঞ্জ।
অন্যদিকে, বাগদাতেও জিতল তৃণমূল। পদ্মের সাজানো বাগানে ঘাসফুল ফোটালেন তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর। ৩০ হাজারেরও বেশি ব্যবধানে জিতলেন তিনি। উল্লেখ্য, এখান থেকেই পরপর দুইবার লোকসভা নির্বাচনে জিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন শান্তনু ঠাকুর। বিধায়ক হিসাবেও এখানে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস।
যদিও বিশ্বজিৎ দাস পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে জিততে পারেননি। এরপর উপনির্বাচনে মধুপর্ণা ঠাকুরকে প্রার্থী করে সবুজ শিবির। আর তাতেই বাজিমাত করলেন মধুপর্ণা।
এদিকে ষষ্ঠ রাউন্ড শেষে প্রায় ২০ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। ফলে স্পষ্টতই, উপনির্বাচনেও লোকসভা নির্বাচনের জয়ের ধারা বজায় রাখল তৃণমূল কংগ্রেস।