আংশিক লকডাউনে মানুষ গৃহবন্দি। করোনা আতঙ্কে থাকা লোকজনের বাড়িতে হামলা হাতির পালের। তাণ্ডব চালাল মেদিনীপুর সদরে। ভেঙে তছনছ করে দিল সব। ভাঙা পড়েছে বাড়ি। ফসল-সবজি খেয়ে-ছড়িয়ে নষ্ট করে দিল হাতির পাল।
এমনিতেই করোনা আতঙ্কে রয়েছেন জঙ্গলমহল এলাকার বাসিন্দারা ৷ আংশিক লকডাউনের কারণে সকলেই বাড়িতেই নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন। এই পরিস্থিতির মাঝে হাতির পালের তাণ্ডব পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সদর ব্লকের বেশ কিছু গ্রামে।
রবিবার ভোরের পরে হাতির পালের হামলাতে ক্ষতি হয়েছে অনেকগুলি বাড়ি। খেয়ে ফেলছে ধান, সবজি-সহ গাছের কাঁঠাল, কলা। হাতির হানায় আতঙ্কে গুড়গুড়িপাল এলাকা।
মেদিনীপুর সদর ব্লকে হাতির হানা বন্ধ থাকলেও নতুন করে রবিবার ভোর থেকে হাতির তাণ্ডব শুরু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে ৪০টি হাতির একটি পাল ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া থেকে আসে।
তারা প্রবেশ করেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গুড়গুড়িপাল এলাকাতে। ঝাড়গ্রাম জেলার বন দফতরের হুলা পার্টির তাড়ায় কংসাবতী নদী পেরিয়ে প্রবেশ করে গুড়গুড়িপাল থানার ভাটপাড়া এলাকায়। পরে সেখান থেকে হাতির পাল পৌঁছে যায় মনিদহতে। মনিদহ এলাকায় ক্ষতি করে ধানের।
এনায়েতপুরে তপন গুছাইত নামে এক ব্যক্তির ধান গোলার শাটার ভেঙে ধান খেয়ে ছড়িয়ে দেয়। ভ্রমরমারা গ্রামে খাবারের খোঁজে কাঞ্চন মাহাতর বাড়ির দেওয়াল ভেঙে ফেলে। পরে চাঁদড়ার সুকনাখালির জঙ্গলে আশ্রয় নেয়।
এর ফলে ফের লোকালয়ে হাতির হানার আশংকা স্থানীয়দের। করোনা সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে বন দফতর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন তাঁরা। বন দফতরের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ৷ হাতির পালকে অন্যত্র সরানোর চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তাপস দোলই বলেন, এমনিতেই গ্রামের লোকজন করোনা আতঙ্কে রয়েছেন। তার ওপর হাতির দল তাণ্ডব শুরু করেছে ৷ অনেক বাড়ি ভেঙে দিয়েছে প্রচুর ক্ষতি করেছে ৷ বন দফতরকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে ৷ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সমস্যা দেখা দেবে।