ভোট পরবর্তী বাংলায় এখনও জারি হিংসা। বিজেপি সমর্থককে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আহত ব্যক্তিকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর আরামবাগের খানাকুল বিধানসভা কেন্দ্রের সাকারিপাড়া কিশোরপুরের এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বিজেপির ১৩ নম্বর বুথের সমর্থক ঘনশ্যাম রানার উপর আক্রমণ চালায় তৃণমূল এমনটাই অভিযোগ।
এই ঘটনায় শাসক দল তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বিজেপি জেলা সভাপতি ও বিধায়ক বিমান ঘোষ। রক্তাক্ত রাজনীতি করার অভিযোগ এনে তাঁর বক্তব্য, ঘনশ্যাম রানাকে নৃশংসভাবে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে দেহ ছিন্নভিন্নীর চেষ্টা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এই ঘটনার সময় ঘনশ্যামের আর্তনাদে হাজির হয় পরিবারের অনেকেই এবং বিজেপি বেশ কিছু সমর্থক। কোনও রকমে প্রাণে বেঁচেছেন এই বিজেপি কর্মী, এমনটাই দাবি পরিবারের। যদিও হাসপাতালে ওই কর্মীর অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক।
এদিকে বিজেপির তরফে জানান হয়েছে পুলিশ যদি এই মামলায় দোষীদের গ্রেফতাঁর না করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, তবে পদ্ম শিবির টানা বিক্ষোভ জারি রাখবে থানার সামনে। বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে এবং পুরো আরামবাগ এলাকায় রাস্তার রাস্তা অবরোধ করা হবে চলবে এই বিক্ষোভ।
আহত বিজেপি কর্মীর ভাই তুফান রানা বলেন, ইছাপুরের মাখিয়াল গ্রামের তৃণমূলের লোকজন প্রথমে তার দাদাকে বাড়ির বাইরে ডেকে নিয়ে যায় এবং পরে তাকে আক্রমণ করে। প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়, পরে গুলি করা হয়। সঙ্গে সঙ্গেই আরামবাগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর দাদাকে। খানাকুলের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ