Advertisement

CAA সার্টিফিকেট পেলেন বাগদার বৃদ্ধ, 'দু'এক জন কেন পাচ্ছে?' প্রশ্ন TMC-র

বাংলাদেশ থেকে ২০০৯ সালে এসে বাগদার হেলেঞ্চা বৈঁচিডাঙাতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন প্রমথরঞ্জন বিশ্বাস। সিএএ আইন লাগু হওয়ার পর তিনি ভারতীয় নাগরিক হওয়ার জন্য সিএএ-তে আবেদনের কথা ভাবেন। সেই ভাবনা মতোই ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন প্রমথরঞ্জন বিশ্বাস।

CAA সার্টিফিকেট পেলেন বাগদার প্রমথরঞ্জন বিশ্বাসCAA সার্টিফিকেট পেলেন বাগদার প্রমথরঞ্জন বিশ্বাস
স্বপন কুমার মুখার্জি
  • বাগদা,
  • 10 Sep 2025,
  • अपडेटेड 6:49 PM IST

বাংলাদেশ থেকে ২০০৯ সালে এসে বাগদার হেলেঞ্চা বৈঁচিডাঙাতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন প্রমথরঞ্জন বিশ্বাস। সিএএ আইন লাগু হওয়ার পর তিনি ভারতীয় নাগরিক হওয়ার জন্য সিএএ-তে আবেদনের কথা ভাবেন। সেই ভাবনা মতোই ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন প্রমথরঞ্জন বিশ্বাস। সব রকম ভেরিফিকেশনের পর সম্প্রতিক সেই নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছেন প্রমথবাবু। নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট পেয়ে তিনি খুব খুশি। তার কথায় এখন আর তাঁকে কেউ ভারত থেকে বিতাড়িত করতে পারবে না। তিনি একজন ভারতীয় নাগরিক। ভারত সরকার তাঁকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

কোনও প্রকার প্ররোচনায় প্রভাবিত না হয়ে এবং ভয় না পেয়ে সকল মতুয়াদের নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের বার্তা দিয়েছেন সদ্য নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট পাওয়া মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রমথ রঞ্জন বিশ্বাস। প্রমথবাবু বলেন, "মতুয়াদের ভুল বোঝানো হচ্ছে সিএএ নিয়ে। আমি কারও কথায় কান না দিয়ে সিএএ-তে আবেদন করে কোনওরকম হয়রানি ছাড়া সার্টিফিকেট পেয়েছি। আমার কোনও ভাতা বা সরকারি পরিষেবা বন্ধ হয়নি।" একই সঙ্গে তিনি সকল মতুয়াদের বার্তা দিয়ে বলেন, "কারও কোন কথায় কান না দিয়ে সিএএতে আবেদন করুন।"

এই বিষয়ে বাগদা পশ্চিম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অঘোর চন্দ্র হালদার বলেন, "আমরা চেয়েছিলাম নিঃশর্ত নাগরিকত্ব। কেন্দ্র সরকার কিভাবে নাগরিকত্ব দিয়েছেন সেটা তারাই বলতে পারবেন।" একই সঙ্গে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, "অনেকেই তো সিএএ তে আবেদন করছে, তাহলে দেখে শুনে দু'একজনকে কেন দেওয়া হচ্ছে? এটা কোনও গিমিক নয় তো?"

বিজেপি নেতা বিধানচন্দ্র হাওলাদার বলেন, "তৃণমূল মানুষকে সিএএ নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে। প্রমথ রঞ্জন বাবু আবেদন করে নাগরিকত্ব পেয়েছেন। সামনে বিধানসভা নির্বাচনে সিএএ এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেলে মতুয়ারা আর তৃণমূলে ভোট দেবে না। সেই কারণে তারা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন।"

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement