Advertisement

SIR West Bengal: তিন ভাইয়ের পরিবারে হঠাৎ এক ‘অচেনা’ ভাই, SIR খসড়ায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের অভিযোগ

SIR-এর খসড়া ভোটার তালিকা বের হতেই মাথায় হাত তিন ভাইয়ের। কারণ, সরকারি নথিতে হঠাৎই তাঁদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। তিন ভাইয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আর এক ‘ভাই’; যিনি আদতে তাঁদের কেউ নন।

 তিন ভাইয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আর এক ‘ভাই’; যিনি আদতে তাঁদের কেউ নন। তিন ভাইয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আর এক ‘ভাই’; যিনি আদতে তাঁদের কেউ নন।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 29 Dec 2025,
  • अपडेटेड 10:34 PM IST
  • SIR-এর খসড়া ভোটার তালিকা বের হতেই মাথায় হাত তিন ভাইয়ের।
  • সরকারি নথিতে হঠাৎই তাঁদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে।
  • অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে আসা এক ব্যক্তি তাঁদের বাবা-মায়ের নাম ব্যবহার করে নিজেকে সেই পরিবারের সন্তান হিসেবে দেখিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন। 

SIR-এর খসড়া ভোটার তালিকা বের হতেই মাথায় হাত তিন ভাইয়ের। কারণ, সরকারি নথিতে হঠাৎই তাঁদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। তিন ভাইয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আর এক ‘ভাই’; যিনি আদতে তাঁদের কেউ নন। অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে আসা এক ব্যক্তি তাঁদের বাবা-মায়ের নাম ব্যবহার করে নিজেকে সেই পরিবারের সন্তান হিসেবে দেখিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন। 

ঘটনাটি মারিচা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভালুকা গ্রামে। এটি আমডাঙা থানার এলাকার অন্তর্গত। গত ১৬ ডিসেম্বর SIR-এর খসড়া তালিকা প্রকাশের পরেই নজরে আসে অদ্ভুত এই তথ্য। তালিকায় দেখা যায়, ভোলানাথ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির বাবা-মায়ের নাম হিসেবে লেখা রয়েছে নরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও বকুল বিশ্বাস। এঁরা ওই গ্রামেরই বাসিন্দা এবং তিন ভাই নানু বিশ্বাস, গোবিন্দ বিশ্বাস ও তাঁদের আর এক ভাইয়ের প্রকৃত বাবা-মা।

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এই ‘চতুর্থ ভাই’ এল কোথা থেকে? নানু বিশ্বাসের দাবি, '২০০২ সালের ভোটার তালিকায় আমাদের তিন ভাই এবং বাবা-মায়ের নাম ছিল। এত বছর ধরে আমরা তিন ভাইই। ২০২৫ সালের SIR খসড়ায় হঠাৎ করে দেখা যাচ্ছে, আমাদের পরিবারে আর একজন যুক্ত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা। আমাদের বাবা-মায়ের নাম ব্যবহার করে ভোটার তালিকায় ঢুকে পড়েছে।'

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ভোলানাথ বিশ্বাস ২০০১ সালে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেন। প্রথমে পূর্ব বর্ধমানের দুর্গাপুরে ছিলেন, পরে কর্নাটকে যান। সম্প্রতি আবার উত্তর ২৪ পরগনায় ফিরে এসে আমডাঙা এলাকায় থাকতে শুরু করেন; ঠিক সেই সময়েই রাজ্যে চলছিল ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের কাজ।

এই ঘটনার পর থেকেই উদ্বেগে ভুগছেন নরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের পরিবার। তাঁদের আশঙ্কা, শুধু ভোটার তালিকায় নাম ঢোকানোই নয়, ভবিষ্যতে জমিজমা বা সম্পত্তির উপরও দাবি জানাতে পারেন ওই ব্যক্তি। সেই কারণেই দ্রুত ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার (BDO) এবং ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO)-এর কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। ভোলানাথ বিশ্বাসের নাম বাদ দেওয়ার জন্য Form-7 জমা দেওয়ার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।

Advertisement

গোবিন্দ বিশ্বাস বলেন, 'আমরা জন্ম থেকেই তিন ভাই। এই মানুষটিকে কোনও দিন দেখিনি। কী ভাবে সে আমাদের বাবা-মায়ের সন্তান হয়ে গেল, সেটাই বুঝতে পারছি না। প্রশাসনের কাছে গিয়ে ভুল সংশোধনের আবেদন জানাব।'

অন্য দিকে, ভোলানাথ বিশ্বাস নিজে বাংলাদেশি নাগরিক বলে স্বীকার করলেও দাবি করেছেন, তিনি কারও বাবা-মায়ের নাম জাল করেননি। তাঁর বক্তব্য, 'একই নামের বাবা-মা অন্য কারও থাকতে পারে না? আমি খুলনা থেকে এসেছি। ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। ভারতে এসে আত্মীয়দের সাহায্যে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড বানিয়েছি। যদি প্রশাসন ডাকে, আমি সব সত্যি বলব।'

ভোটার তালিকায় নাম তোলার মতো সংবেদনশীল প্রক্রিয়ায় কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনিক স্তরেও। ব্লক লেভেল অফিসার (BLO) মিঠু ওরাং জানিয়েছেন, পরিবারের তরফে অভিযোগ জমা পড়েছে। Form-7 দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে হিয়ারিংয়ের জন্য ডাকা হবে। বৈধ নথি দেখাতে না পারলে তাঁর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। 

Read more!
Advertisement
Advertisement