Advertisement

SIR এর ভয়ে পালাচ্ছিল বাংলাদেশি যুবক, বর্ডার পারের আগেই পাকড়াও কোচবিহারে 

রাজ্যে SIR (Secure Identity Registration) চালু হওয়ার পর থেকেই রীতিমতো রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। তার পাশাপাশি ভুয়ো পরিচয়, ভুয়ো নথি এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনাও নজরে এসেছে। এবার সেই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হল কোচবিহারের ঘটনা।

 পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার বাড়ি বাংলাদেশের রাজশাহী ডিভিশনের সিরাজগঞ্জ জেলার মর্দিনাপুর গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার বাড়ি বাংলাদেশের রাজশাহী ডিভিশনের সিরাজগঞ্জ জেলার মর্দিনাপুর গ্রামে।
প্রীতম ব্যানার্জী
  • কোচবিহার,
  • 15 Nov 2025,
  • अपडेटेड 7:07 PM IST
  • রাজ্যে SIR (Secure Identity Registration) চালু হওয়ার পর থেকেই রীতিমতো রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।
  • ভুয়ো পরিচয়, ভুয়ো নথি এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ, সবই এবার ধরা পড়ছে প্রশাসনের নজরে।
  • তালিকায় নতুন করে যুক্ত হল কোচবিহারের ঘটনা।

রাজ্যে SIR (Secure Identity Registration) চালু হওয়ার পর থেকেই রীতিমতো রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। তার পাশাপাশি ভুয়ো পরিচয়, ভুয়ো নথি এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনাও নজরে এসেছে। এবার সেই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হল কোচবিহারের ঘটনা। অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে চার বছর আগে ভারতে অনুপ্রবেশ করা এক যুবক SIR লাগু হওয়ার পর গোপনে দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু সীমান্তে পৌঁছতেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় সে।

ধৃত যুবকের নাম দুর্জয় রায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার বাড়ি বাংলাদেশের রাজশাহী ডিভিশনের সিরাজগঞ্জ জেলার মর্দিনাপুর গ্রামে। চার বছর আগে উন্মুক্ত সীমান্তের সুযোগ নিয়ে সে মামার বাড়ির ঠিকানায় জলপাইগুড়িতে প্রবেশ করে। তারপর সেখানেই থেকে চা বাগান ও স্থানীয় হোটেলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। ধীরে ধীরে ভারতে স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা শুরু করে দুর্জয়। অভিযোগ, সে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড ও ব্যাঙ্ক পাসবুক পর্যন্ত তৈরি করে নেয়। সব নথিপত্রই জালিয়াতি করে বানানো বলে সন্দেহ পুলিশের।

এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে দুর্জয়। আর তারপরেই দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে। পুলিশের দাবি, হলদিবাড়ি বর্ডার হয়ে বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টার সময় সীমান্তের কাছে তাকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। এরপরই দেওয়ানগঞ্জ আউটপোস্ট-এ নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে দুর্জয় নিজেই বাংলাদেশি নাগরিক বলে স্বীকার করে।

পুলিশ ইতিমধ্যেই তার সমস্ত ভুয়ো নথি বাজেয়াপ্ত করেছে। এখন বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা, বা ভুয়ো নথি তৈরির সংগঠিত চক্র রয়েছে কি না।

সংবাদদাতা: মনসুর হাবিবুল্লাহ

Read more!
Advertisement
Advertisement