Advertisement

Bankura 'Service Kali': 'মানত করলেই চাকরি দেন মা', বাঁকুড়ার জনপ্রিয় 'সার্ভিস কালী' মন্দিরের কাহিনি জানেন?

এই কালী মন্দিরে মানত করলেই সরকারি চাকরি। কোনও কল্পকথা নয়, লক্ষ লক্ষ ভক্তের আগমন হয় বাঁকুড়ার সোনামুখীর 'সার্ভিস কালী' মন্দিরে। যে ভক্তরা সরকারি চাকরির মানত করেন, তাঁদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন 'সার্ভিস কালী'।

কালী মা (ফাইল ছবি)
স্বপন কুমার মুখার্জি
  • বাঁকুড়া,
  • 30 Oct 2024,
  • अपडेटेड 3:16 PM IST

Bankura Sonamukhi 'Service Kali': এই কালী মন্দিরে মানত করলেই সরকারি চাকরি। কোনও কল্পকথা নয়, লক্ষ লক্ষ ভক্তের আগমন হয় বাঁকুড়ার সোনামুখীর 'সার্ভিস কালী' মন্দিরে। যে ভক্তরা সরকারি চাকরির মানত করেন, তাঁদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন 'সার্ভিস কালী'।

জেলার কালীক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত বাঁকুড়ার প্রাচীন পৌরশহর সোনামুখী। এখানে ছোটো-বড় মিলিয়ে প্রায় আড়াইশো কালীপুজো হয়। এখানকার প্রাচীন কালী পুজোগুলিকে নিয়ে নানা লোককথা প্রচলিত আছে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম "সার্ভিস কালী"। কিন্তু এই কালীর এই রকম নামকরণ কেন? 

এ নিয়ে এলাকায় জনপ্রিয় জনশ্রুতি, আনুমানিক ইংরেজি ১৯৪০ খ্রীস্টাব্দে সোনামুখী শহরের ধর্মতলায় কালী পুজো করতেন এলাকার কিছু যুবক। বেকারত্বের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন ওই যুবকেরা। এরপর কালী মায়ের কাছে মানত করেছিলেন চাকরি পেলে মায়ের পুজো ধুমধাম করে পালন করবেন। সেই মানত পূরণ করেছিলেন মা কালী। ওই বেকার যুবকদের যন্ত্রণার কথা শোনার পরই বেকার যুবকরা পরের বছরই চাকরি পেয়েছিলেন বিভিন্ন সংস্থায়। তারপর থেকেই সোনামুখী শহরের ধর্মতলাতে ধুমধাম করে কালীপুজো করে আসছেন ওই বেকার যুবকরা। সেই থেকেই এবং কালীপুজোর নাম দেওয়া হয়  "সার্ভিস কালী।" 

জনশ্রুতিও রয়েছে মায়ের কাছে মানত করলেই চাকরি পাওয়া যায়। আজও সোনামুখীর মানুষ এই বিশ্বাস এই মায়ের আরাধনা করে থাকেন। বর্তমানে এই পুজোর দায়িত্ব গ্রাম ষোলো আনার অধীনে রয়েছে। নিত্যদিন অসংখ্য ভক্ত এখানে পুজো দিতে আসেন। কার্তিক অমাবস্যায় কালীপুজোর দিন সেই সংখ্যাটা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। উৎসবের চেহারা নেয় সোনামুখী শহর জুড়ে ।

নমিতা হাজরা নামে এক সোনামুখীর বাসিন্দা জানান , সার্ভিস কালী মায়ের আশীর্বাদ তাঁর ছেলে সরকারি চাকরি পেয়েছে। তাই আগামী দিনে মায়ের আশীর্বাদে সকলেই চাকরি পাক এবং ভালো থাকুক। আরেক বাসিন্দা সীমা রায় বলেন,তাঁর অভাবের সংসার। স্বামী ভ্যান চালিয়ে খরচ চালাতেন। খুব কষ্ট করেই দুই মেয়েকে মানুষ করেছেন। সার্ভিস কালী মায়ের কৃপায় দুই মেয়েই এখন সরকারি চাকরি পেয়েছে।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement