পশ্চিম বর্ধমানের চিত্তরঞ্জন রেলওয়ে টাউনশিপে ফের চাঞ্চল্য। রবিবার রাতে সরকারি কোয়ার্টার থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হল এক রেলকর্মীর মৃতদেহ। মৃতের নাম প্রদীপ চৌধুরী। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তিনি আত্মহত্যা করেছেন, যদিও ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদীপ চৌধুরী চিত্তরঞ্জন লোকো ওয়ার্কশপে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী সঞ্চিতা চৌধুরীকে ছ মাস আগে, গত ৩ এপ্রিল বাসন্তী পুজোর দিন, একই কোয়ার্টারে গলা কেটে খুন করা হয়েছিল। সেই খুনের রহস্য এখনও অমীমাংসিত।
রেল টাউনশিপের বাসিন্দাদের মতে, রবিবার দুপুরে প্রদীপের ছেলে দেবাদিত্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। রাতে বাড়ি ফিরে দেখেন, দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। বারবার ধাক্কা দেওয়ার পরও সাড়া না পেয়ে তিনি স্থানীয় ভাইস ওয়ার্ডেন ও চিত্তরঞ্জন থানায় খবর দেন।
পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখে, বিছানায় প্রদীপের দেহ পড়ে আছে, মাথায় গুলির চিহ্ন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের ডেকেছে তদন্তে সাহায্যের জন্য।
পুলিশের এক আধিকারিক জানান, 'ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি খুন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
উল্লেখ্য, স্ত্রী সঞ্চিতার খুনের পর প্রদীপকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। তবে ওই মামলায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
চিত্তরঞ্জন রেলওয়ে পুরুষ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিং বলেন, 'এই মৃত্যু অত্যন্ত রহস্যজনক। ছয় মাসের মধ্যে একই কোয়ার্টারে দু’জনের মৃত্যু উদ্বেগজনক। প্রশাসনের আরও সক্রিয় হওয়া জরুরি।'
স্থানীয়দের অভিযোগ, সাম্প্রতিক সময়ে চিত্তরঞ্জনে অপরাধের ঘটনা বেড়েছে। পরপর দুই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা রেল টাউনশিপে।