বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডের দুই সন্দেহভাজন কাঁথি থেকে গ্রেফতার। শুক্রবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ এই দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে। তারপরই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শুভেন্দুর গড় কাঁথি কেন্দ্র। এই কাঁথি থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করায় বিজেপিকেই নিশানা করেন কুণাল।
এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে কুণাল লেখেন, "NIA কেও মানতে হল রাজ্য পুলিশের সক্রিয় সহযোগিতার কথা। বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে জড়িত বলে যে গ্রেপ্তার তারা করেছে, তাতে তাদের প্রেস রিলিজেও রাজ্য পুলিশের সহযোগিতার উল্লেখ। আর কোথা থেকে ধরেছে? কাঁথি। সবাই জানে সেখানে কোন পরিবার দুষ্কৃতীদের আনে, আশ্রয় দেয়। এসবে তাদের ভূমিকার তদন্ত হোক। বাংলার পুলিশ দেশবিরোধী অশুভ শক্তিকে দমন করতে অবিচল এবং অন্য এজেন্সিকে সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত, আবার প্রমাণিত।"
এদিন বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য রাজ্যের প্রশাসনকে নিশানা করে বলেন, "দুর্ভাগ্যবশত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে পশ্চিমবঙ্গ সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে।"
প্রসঙ্গত, গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর ব্রুকফিল্ড এলাকায় অবস্থিত বিখ্যাত ক্যাফেতে আইইডি বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জন আহত হয়। ৩ মার্চ ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। ওই ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত মুজাম্মিল। তার ২৭ দিন পর মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পলাতক অভিযুক্তদের নাম মুসাভির হুসেন শাজিব, যিনি ক্যাফেতে আইইডি স্থাপন করেছিলেন এবং আবদুল মতিন ত্বহা, যিনি বিস্ফোরণের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন। বেশ কয়েক দিন ধরে তাঁরা এই রাজ্যে আত্মগোপন করেছিলেন বলে এনআইএ সূ্ত্রে খবর।
এনআইএ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা মিথ্যা পরিচয়ে লুকিয়ে ছিল। একটি বিবৃতিতে এনআইএ বলেছে যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং পশ্চিমবঙ্গ, তেলঙ্গনা, কর্ণাটক এবং কেরলের পুলিশের সহযোগিতায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।