Advertisement

Bhuban Badyakar : 'আমাকে বাঁচান', ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দেখে আর্জি কাঁচা বাদাম গায়ক ভুবনের

ভুবন বাদ্যকর মহাবিপদে। তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। গত ২ বছর ধরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। অভিযোগ কাঁচা বাদাম গায়কের। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় রীতিমতো আতঙ্কিত ভুবন।

ভুবন বাদ্যকর ভুবন বাদ্যকর
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 17 Apr 2023,
  • अपडेटेड 6:38 PM IST
  • ভুবন বাদ্যকর মহা বিপদে
  • ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দেখে মাথায় হাত কাঁচা বাদাম গায়কের

ভুবন বাদ্যকর মহাবিপদে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দেখে মাথায় হাত কাঁচা বাদাম গায়কের। কাতর আর্জি জানাচ্ছেন তিনি। প্রতারণার শিকার হয়েছেন। গত ২ বছর ধরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। অভিযোগ কাঁচা বাদাম গায়কের। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় রীতিমতো আতঙ্কিত ভুবন। কপিরাইটের জেরে নিজের সেই বিখ্যাত 'বাদাম বাদাম' গান আর করতে পারছেন না তিনি। এর মধ্যেই ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট দেখে মাথায় হাত তাঁর। 

ভুবন বাদ্যকরের অভিযোগ, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গত ২ বছর ধরে কোনও টাকা ঢোকেনি। একবার মাত্র ৩৯ হাজার টাকা মতো ঢুকেছিল। সেই টাকাও প্রায় খরচ হয়ে গিয়েছে। এখন তাঁর হাতে টাকা নেই বললেই চলে। 

ভুবনের দাবি, ‘গোধূলিবালা মিউজিক’-এর কর্ণধার গোপাল ঘোষ তাঁকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কাঁচা বাদাম গান বাবদ অ্যাকাউন্টে মাসে মাসে টাকা ঢুকবে। সেই টাকার অঙ্ক হবে কোনও মাসে ৪০ হাজার আবার কোনও মাসে তার থেকে সামান্য কম। তারপর মাত্র এক মাস টাকা ঢুকেছিল ঠিকই। তবে সেই শেষ। তারপর থেকে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা ঢোকেনি। 

আরও পড়ুন

ভুবনের কথায়, 'কপি রাইট চুক্তির সময় আমাকে বলা হয়েছিল মাসে মাসে টাকা দেওয়া হবে। একবারই সেই টাকা পেয়েছি। তারপর আর মেলেনি। গত দুইবছর ধরে আমার অ্যাকাউন্ট ফাঁকা। আমাকে বাঁচান। যে কটা টাকা আছে তা দিয়ে সংসার চলবে না। এখন তো আর কাঁচা বাদাম গান গাইতেও পারি না। গাইলেই কপিরাইটের জন্য গান বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর সেই রকম শো-ও পাচ্ছি না। এদিকে বাড়ির কাজ অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে আছে। বাড়ি তৈরির সাধ ছিল। কাজও শুরু করেছিলাম। তবে এখনও শেষ করে উঠতে পারিনি।' 

ভুবনের আরও দাবি, তিনি মাঝে মাঝেই ব্যাঙ্কে গিয়ে খোঁজ নেন। অ্যাকাউন্ট চেক করেন। কিন্তু টাকা ঢোকে না। তাঁকে গোপাল ঘোষ প্রতারিত করেছেন। 

Advertisement

যদিও গোপাল ঘোষকে বাংলা.আজতক.ইন-এর তরফে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।  এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ভুবনের যে অভিযোগ তার তদন্ত শুরু হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

প্রসঙ্গত, কপি রাইটের জন্য গান গাইতে পারছেন না ভুবন। সেজন্য এর আগে নিজের যন্ত্রণার কথা জানিয়েছিলেন। অথচ এই গান তাঁকে পরিচিতি দিয়েছিল। এই গানের দৌলতেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় স্টার হয়ে উঠেছিলেন। 

অভিযোগ, এই গান সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কোথাও পোস্ট করলেই কপি রাইটে আটকে দেওয়া হচ্ছে। ফলে রোজগারপাতি বন্ধ বাদামকাকুর। কদিন পর থেকে উনুনে হাঁড়ি চড়বে না হয়তো। শঙ্কিত তিনি। বাংলা.আজতক.ইন-কে জানান, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। গোপাল নামে কোনও এক ব্যক্তি তাঁকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে বলেছিলেন যে , তাঁদের চ্যানেলে গানটি চালাবেন। সেই মতো টাকাও নেন তিনি। তবে তারপর থেকে আর টাকা পাননি। 

Read more!
Advertisement
Advertisement