বীরভূমে 'নকল' পেট্রোল পাম্পের বাড়-বাড়ন্তের অভিযোগ। পশ্চিমবঙ্গ পেট্রোল ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, জেলাজুড়ে বিনা লাইসেন্সে প্রায় ৪০টি পাম্প চলছে। মিনি পাম্পের আড়ালে সস্তা দরে গ্রাহকদের কম পেট্রোল দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের একাংশের।
শনিবার, ৭ ডিসেম্বর সিউড়িতে সংগঠনের পক্ষ থেকে বৈঠক করা হয়। তারপর রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নকল পেট্রোল পাম্পের তালিকা দিয়ে অভিযোগ জানানো হয়। এরপরেও অবৈধ পাম্প বন্ধ না হলে ১৫ দিনের নোটিসে জেলাজুড়ে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘটে যাবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পেট্রোল ডিলার অ্যাসোসিয়েশন।
পাশাপাশি জেলার ২০০ বৈধ লাইসেন্স প্রাপ্ত পাম্পে পুলিশের অনুমতি ছাড়া বোতলে বা জ্যারিকেনে পেট্রোল দেওয়া হবে না বলে অ্যাসোসিয়েশন জানিয়ে দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও বিহার থেকে ছোট ট্যাঙ্কারে করে জেলার গ্রামীণ এলাকায় পেট্রোল ঢুকছে বলে অভিযোগ। এই রাজ্যের তুলনায় ওই রাজ্যগুলিতে পেট্রোলের দাম কম। সেখানেই একটি জলের ট্যাঙ্কারে করে, পাম্প মেশিন কিনে নিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় মিনি পেট্রোল পাম্প গড়ে তোলা হচ্ছে বলে দাবি করছে সংগঠন।
এ ব্যাপারে সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক প্রসেনজিৎ সেন বলেন, এই যদি অবস্থা চলে আমরা পেট্রোল পাম্প স্ট্রাইকে যাব। ১৫ দিনের আগে গভর্নমেন্টকে জানাতে হয়। আমাদের পাম্পের যেমন ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, সরকারেরও প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে। পেট্রোলের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ ও ডিজেলের ক্ষেত্রে ১৭ শতাংশ ট্যাক্স নেয় সরকার। সরকারের এটা একটা মূল রাজস্ব। আমরা মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, ফায়ার ব্রিগেড সবাইকেই জানাব। ৬ মাসে এটা বেড়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র বীরভূমেই এটা রয়েছে। বীরভূম ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বলে এটা হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডে তেলের দাম কম।
সংবাদদাতা: শান্তনু হাজরা