বিজেপির দাবি গোটা দেশে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। কিন্তু অশান্তি হয়েছে শুধুমাত্র একটি রাজ্যেই। আর সেই রাজ্যটি হল পশ্চিমবঙ্গ। লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের ১১ দিন পরে তাই পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতির খোঁজ খবর নিতে এ রাজ্যে একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব। একটি প্রেস বিবৃতি দিয়ে বিজেপি জানিয়েছে, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন। তাঁরাই বাংলায় গিয়ে ভোট পরবর্তী হিংসার কারণ খুঁজবেন।
শনিবার জারি করা ওই প্রেস বিবৃতিতে স্বাক্ষর রয়েছে বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিংহের। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই কমিটিতে থাকবেন বিজেপির চার সাংসদ প্রতিনিধি। এঁরা হলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান সাংসদ বিপ্লব দেব। তিনিই ওই কমিটির আহ্বায়ক। এ ছাড়া থাকছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্তমান সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি ও বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল এবং মধ্যপ্রদেশের রাজ্যসভা সাংসদ কবিতা পাতিদার। তাঁরা বাংলায় গিয়ে খতিয়ে দেখে ভোট পরবর্তী হিংসার রিপোর্ট দেবেন।
বিজেপির ওই প্রেস বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, 'গোটা দেশে এ বার লোকসভা ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ ভাবে। ২৮টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লোকসভা ভোট ছাড়াও চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটিতে ক্ষমতার বদলও হয়েছে। অথচ কোথাও কোনও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেনি। হয়েছে শুধুমাত্র বাংলায়।'
এদিকে, ভোটের ফল প্রকাশের পর শনিবার প্রথম বৈঠকে বসেছে রাজ্য বিজেপির কোর কমিটি। সন্ধেই সল্টলেকের বৈঠকে কোর কমিটির ২৪ সদস্য ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন বাংলার দায়িত্বে থাকা চার কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্য এবং আশা লাকড়া। বৈঠকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও থাকার কথা।
অন্যদিকে, এদিন বিষয়টিতে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'হেরে গেছে। তাই কিছু তো করে মুখ রক্ষা করতে হবে। বামফ্রন্ট আমলে আমাদের অনেক কর্মীকে খুন করা হয়েছিল। তখন কোথায় কেন্দ্রীয় দল এসেছিল। বেশ কয়েকটি জায়গায় ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কারণে হিংসা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে আইন রয়েছে। অত্যাচার কাকে বলে বিজেপি সেটা দেখেনি। তারা পাবলিসিটি পাওয়ার জন্য করছে। আমাদের সময় মেরে রাস্তায় কেটে ফেলে দিয়েছিল।'