লোকসভা ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপির শিবির দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। বেশ কয়েকদিন হল বেসুরো গাইছেন অনুপম হাজরা। ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে আগামী ২৯ নভেম্বর বুধবার হচ্ছে বিজেপির জনসভা। সেই সভায় যোগ দিতে কলকাতায় আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তা আগে ফের একবার দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা।
সম্প্রতি কয়েকদিন ধরে সংবাদ মাধ্যম থেকে ফেসবুক লাইভ বিজেপি শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ করে চলেছেন অনুপম হাজরা। কয়েকদিন আগেই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লাইভ করে বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছিল অনুপমকে। ফের একবার দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক। ফেসবুক লাইভ করে ব্যক্ত করলেন নিজের ভাবনা। অনুপকেম ফেসবুকে লাইভে বলতে শোনা যায়, 'প্রচুর বাধান সম্মুখীন হচ্ছি, চোর তৃণমূল ও চোর বিজেপি দুটোই শত্রু, ঘরে বাইরে আমার শত্রু, তাই আমার রিস্ক বেশি।' পাশাপাশি পার্টিতে ধান্দাবাজ রয়েছে, একদিকে পদাধিকারী আর অন্যদিকে রাতে তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে, এমন ভিযোগও করেন অনুপম। এই বিষয়ে তুলে ধরতে দলীয় কর্মীদের কাছেও আহ্বান জানান তিনি।
দলের রাজ্য ও জেলা কমিটির একাংশের বিরুদ্ধে মুখ খুললেও অনুপম কারও নাম নেননি। তাঁর অভিযোগ, অযোগ্য নেতাদের জন্যেই বহু কর্মী অন্য দলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। দলের কয়েক জনকে ‘তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে চলা লোক’ বলেও বর্ণনা করেন তিনি। অনুপম আরও বলেন, 'যোগ্য না হলেও স্তাবক বা কাছের মানুষকে জেলা সভাপতি করা হচ্ছে। লোকসভা ভোটে টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রেও যোগ্যতাকে গুরুত্ব না দিয়ে কাছের মানুষকে টিকিট দেওয়ার চেষ্টা করবে। সংগঠন নিয়ে রাজ্য নেতৃত্ব এতদিন ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রিপোর্ট দিয়েছে'। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদকের অভিযোগ, 'বঙ্গ বিজেপি সাধারণত আমাকে এভাবেই এড়িয়ে চলে। উচ্চ নেতৃত্ব এলে সভায় থাকার ইচ্ছা থাকে সকলেরই। আমায় সেখানে ডাকা হয় না।'
উল্লেখ্য গত লোকসভা লোকসভা ভোটের আগে মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অনুপম হাজরা। তবে সেবার লোকসভা ভোটে, বিজেপির প্রার্থী হিসেবে যাদবপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর কাছে হেরে যান তিনি।