ওয়াকফ (সংশোধিত) আইনের বিরোধিতায় জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ করছেন সংখ্যালঘুরা। বুধবার দুপুর থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু জায়গায়। ওয়াকফ নিয়ে সংখ্যালঘুদের বাড়বাড়ন্তের জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ বলেন, "মুর্শিদাবাদ বিশ্বাসঘাতক এবং দেশবিরোধীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ভোটের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস তাদের স্পর্শ করে না। যদি কাশ্মীর শান্তিপূর্ণ হতে পারে, যদি অসম শান্তিপূর্ণ হতে পারে, তাহলে সবকিছুই শান্তিপূর্ণ হতে পারে। কিছু রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশ থেকে কিছু অনুপ্রবেশকারী এখানে এসে গোলমাল তৈরি করছে।"
আরও বলেন, "তাদের শান্ত করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। সিএএ পাস হওয়ার পর এখানে স্টেশনটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। গোলমাল তৈরি হয়। ধীরে ধীরে মুর্শিদাবাদ জেলাকে ভারত থেকে আলাদা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজ্যকে বাংলাদেশে পরিণত করার ষড়যন্ত্র চলছে। যদি এখানকার সরকার সতর্ক না হয়, তাহলে রাম নবমীতে মানুষ যেমন রাস্তায় নেমেছিল, তেমনি তারা এর বিরুদ্ধেও নামবে।"
ওয়াকফ নিয়ে বাংলায় হিংসার বিরোধিতা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "সরকারি সম্পত্তির উপর যে আক্রমণ হচ্ছে তা করা উচিত নয়। সকলকে দেশের আইন মানতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে আইনটি অসাংবিধানিক? ওয়াকফ বিল এখন আইনে পরিণত হয়েছে। সকলকে এটি মানতে হবে।"
ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। ১৬৩ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও রণক্ষেত্রে পরিণত হয় জঙ্গিপুরের সুতি এলাকা।