Advertisement

Dilip Ghosh: 'মমতার আঁচলের তলায় থেকে নেতা হয়েছেন, তাঁদের বড় বড় কথা...', দিঘায় তোপ দিলীপের

শরীর কাটলে বিজেপিরই রক্ত বইবে, এমনটাই দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী-সৌমিত্র খাঁকে নাম না করে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা। বুধবার দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিন সস্ত্রীক পৌঁছে যান তিনি। তা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। বৃহস্পতিবার সকাল হতেই দিঘায় স্ত্রীকে পাশে নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন দিলীপ। সেখান থেকে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন। রাজ্য বিজেপিতে বিজেপির লাগাতার হার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

দিলীপ ঘোষদিলীপ ঘোষ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 01 May 2025,
  • अपडेटेड 9:21 AM IST

Dilip Ghosh Attacks Suvendu Adhikari: শরীর কাটলে বিজেপিরই রক্ত বইবে, এমনটাই দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী-সৌমিত্র খাঁকে নাম না করে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা। বুধবার দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিন সস্ত্রীক পৌঁছে যান তিনি। তা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। বৃহস্পতিবার সকাল হতেই দিঘায় স্ত্রীকে পাশে নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন দিলীপ। সেখান থেকে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন। রাজ্য বিজেপিতে বিজেপির লাগাতার হার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

'যাদের আমি নেতা করেছি, তাদের বেশি পেটব্যথা হচ্ছে'
রাজ্য বিজেপিকে আক্রমণ করে দিলীপ এদিন বলেন, "মন্দির যে তৈরি করুক, ভগবান সবার হয়। কালীঘাটের মন্দির কে তৈরি করেছে সবাই ভুলে গেছে, রামমন্দির কে তৈরি করেছে ভুলে যাবে। তবে ভগবানকে কেউ ভুলবে না। পশ্চিমবঙ্গে সব কিছুতে রাজনীতি হয়। আমার মজা লাগছে আমার দলের কিছু লোক লোক খুব কষ্ট পেয়েছেন। হতাশায় ভুগছেন, কেউ ভাবছেন সুইসাইড করবেন কিনা। চোখের জল ফেলবেন না। আমরা রক্ত-ঘাম দিয়ে পার্টি দাঁড় করিয়েছি। বিজেপির কর্মীরা পিছনে তাকায় না... যতদিন সন্দেহ, বিরোধ ছিল না। দল এগিয়েছে। যবে থেকে এই অপসংস্কৃতি ঢুকেছে তখন থেকে পার্টি পিছোচ্ছে। দিলীপ ঘোষ ১০ বছর ধরে রাজনীতি করছে। আমার দিকে আঙুল তোলার হিম্মত নেই।... যাদের আমি নিয়ে এসে নেতা করেছি, বিজেপিতে করে খাচ্ছে তাদের বেশি পেটব্যথা হচ্ছে। তারা ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত। দলের ওপর ভরসা রাখুন। চিন্তা করার দরকার নেই।" 

দিলীপ ঘোষ দল ছাড়বেন? নিজেই জানালেন
দল ছাড়ার জল্পনায় দিলীপ বলেন, "দিলীপ ঘোষ দল ছাড়বে কিনা, কোথায় যাবেন। অনেকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। কেউ আনন্দিত। দিলীপ ঘোষ দরকার হলে রাজনীতি ছাড়বে। তবে বিজেপি ছাড়বে না। কিছু লোক মনে করছে আমি ছাড়লে জায়গাটা খালি হবে। পশ্চিমবঙ্গে যতদিন না রাজনৈতিক পরিবর্তন হচ্ছে লড়াই চলবে। এটাই মিশন। আমার যে লক্ষ লক্ষ সাথী ১০ বছর ধরে লড়াই করেছেন সেটাই আমাদের প্রেরণা। ২৫৭ জন আমার সময় প্রাণ দিয়েছেন। ৭৭টা সিট জিতেছিলাম, আজ একডজন বিধায়ক ছেড়ে চলে গেছে। সাংসদ, পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ চলে যাচ্ছে। ঘাবড়াবেন না। ভয় পাবেন না। আমাদের বিচারধারা ঠিক আছে। বিজেপি ভয় পায় না বলে ভারতবর্ষের পরিবর্তন করতে পেরেছে।"

Advertisement

'অটল বিহারী বাজপেয়ী মমতা ব্যানার্জির মায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন'
বলেন, "আমরা সেই পার্টির সংস্কৃতি মানি যে দলের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী কালীঘাটে গিয়ে মমতা ব্যানার্জির মায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন। আমরা সেই সংস্কৃতির লোক। উনি তখন আমাদের সঙ্গে ছিলেন। আজ অন্যদিকে গিয়ে শত্রু হয়ে গেছেন তা মনে করি না। আমি রাজনীতিতে কাউকে শত্রু করি না, মিত্র করি। তাই দল এত বড় হয়েছিল। আজ অনেকে এসে নেতৃত্ব করছেন।"

'দিলীপ ঘোষকে কাটলে বিজেপির রক্ত বইবে'
অটল বিহারী বাজপেয়ি লাহোর গিয়েছিলেন বাসে করে... আমরা সেই সংস্কৃতির লোক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নওয়াজ শরীফের মেয়ের বিয়েতে গিয়েছিলেন নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে। এরপর পাঠানকোট, পুলওয়ামা হয়েছিল। মোদী সরকার সার্জিকাল স্ট্রাইক করতেও ভোলেননি। এটাই ভারতের সংস্কৃতি। আমরা যেন আমাদের পরিচিতি না ভুলে যাই। আমার পাড়ায় কোনও তৃণমূল নেতার বাড়িতে, সে টিএমসি করে বলে বিয়ে হচ্ছে আমি যাব না এমন রাজনীতি দিলীপ ঘোষ করে না, করবে না।...যারা করছে তারা বিজেপি জানে না। তারা দিলীপ ঘোষকে চেনে না। এর পিছনে কী ত্যাগ জানে না। যারা ২০-২১ সালে বিজেপিতে এসেছে তারা বিজেপি বোঝে না। দিলীপ ঘোষকে কেউ আরএসএস, হিন্দুত্ব বোঝাবেন না। আমাকে কাটলে বিজেপির রক্ত বেরোবে। বাকিদের কী রক্ত আছে জানি না। বহু জায়গায় তাঁরা ঘুরে এসেছেন। 

'মমতা ব্যানার্জির আঁচলের তলায় থেকে নেতা হয়েছেন...'
শুভেন্দু-সৌমিত্রকে আক্রমণ করে বলেন, "বড় বড় কথা বলছেন কারা? যাঁরা মমতা ব্যানার্জির আঁচলের তলায় থেকে নেতা হয়েছেন। যাঁরা কালীঘাটের উচ্ছিষ্ট খেয়েছে তাঁরা দিলীপ ঘোষকে ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট দিচ্ছে। যাঁরা ৪-টে বিয়ে করে, ১৪টা গার্লফ্রেন্ড রাখে। দিন আর রাতের জীবন আলাদা। তাঁরা দিলীপ ঘোষকে ত্যাগী, ভোগী বলছে। মানুষ জানে দিলীপ ঘোষ কী। আমার মন আর মুখ এক। পর্দার আড়ালে কথা বলি না। রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথআ বলি। দিলীপ ঘোষ বাংলা পাল্টাতে এসেছে। তিনি পাল্টাবেন না।"

'এই দালালরা যবে থেকে পার্টিতে এসেছে বিজেপির স্বাদ-গন্ধ চলে গেছে'
দিলীপ আরও বলেন, "দিলীপ ঘোষ আছে থাকবে। এখন আবেগে ভাসার সময় নয়। আজ যারা বড় বড় কথা বলছেন, তারা কি করেছেন? চার পয়সার ত্যাগ নেই। বিজেপিতে কামাতে এসেছেন। আমি দোকান সাজিয়ে এসেছিলাম ৭৭টা বিধায়ক দিয়ে। একডজন বিধায়ক নেই কেন? সাংসদ কোথা গেল?... ২১ সালের পর থেকে বিজেপি নামছে। ১৯ সালে বিজেপি ৪১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। ২১ সালের পর আমরা জিততে ভুলে গেছি। আমাকে রাজনীতি শেখাচ্ছেন? এই দালালরা যবে থেকে পার্টিতে এসেছে বিজেপির স্বাদ-গন্ধ চলে গেছে। জিততে ভুলে গেছি আমরা।"

সকালের সাংবাদিক সম্মেলন ছাড়তেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা 'দিলীপ ঘোষ জিন্দাবাদ, তৃণমূলে দিলীপ ঘোষকে স্বাগত' বলে স্লোগান তোলেন। আগামী দিনে তিনি তৃণমূলে সামিল হন কিনা এখন তাই দেখার।

Read more!
Advertisement
Advertisement