তৃণমূলের 'জয় বাংলা' স্লোগান নিয়ে এবার কটাক্ষ করলেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বললেন, 'এটা একটা অসুখের নাম।' মঙ্গলবার অষ্টাদশ লোকসভায় তৃণমূলের নবনির্বাচিত সাংসদরা শপথ নেন। শপথবাক্য পাঠ করার শেষে অধিকাংশ তৃণমূল সাংসদই জয় বাংলা স্লোগান দেন। এই নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।
এই প্রসঙ্গে অভিজিৎ বলেছেন, 'জয় বাংলা একটা অসুখের নাম। যখন আমরা ছোট ছিলাম, তখন চোখে একটা বিশেষ ধরনের রোগ হত, যাকে বলা হত জয় বাংলা। নিমফল দিয়ে চোখ ঠিক করতে হয়। তখনই জয় বাংলা নামটা তৈরি হয়।'
তৃণমূল সাংসদদের কণ্ঠে জয় বাংলা স্লোগান শুনে অভিজিতের কটাক্ষ, 'ওদের হয়তো চোখ দিয়ে জল পড়ার সময় এসেছে। তাই জয় বাংলা, জয় বাংলা বলছে।'
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই জয় বাংলা স্লোগান জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিজেপির জয় শ্রীরাম ধ্বনির পাল্টা জয় বাংলা স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের নেতাদের।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক বাংলার রাজনৈতিক আঙিনায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এবার তমলুকে পদ্মফুল ফুটেছে। এই কেন্দ্রে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছিল। একদিকে, বিজেপির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, অন্য দিকে তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্য। দেবাংশুকে হারিয়ে শেষমেশ তমলুকে পদ্মফুল ফুটিয়েছেন অভিজিৎ।
শুরু থেকে তমলুক ছিল কংগ্রেসের। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকায একসময় কংগ্রেসের দাপট ছিল। পরে তমলুকে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল বামেদের হাতে। ২০০৯ সালে বাম জমানায় বড়সড় পরিবর্তন ঘটে স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা তমলুকের। সে বছর লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার ওই কেন্দ্রে ফোটে জোড়াফুল। সাংসদ হন শুভেন্দু অধিকারী। শুরু হয় অধিকারী পরিবারের জমানা। তবে ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই তমলুকের আকাশে বাতাসে আরও এক বদলের হাওয়া বইছে। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে অন্যতম 'প্রেস্টিজ ফাইট' ছিল তমলুকে। এবার এই কেন্দ্র দখল করল মরিয়া পদ্মশিবির।