Advertisement

West Bengal Elections: মিশন পশ্চিমবঙ্গ দখল! UP-হরিয়ানা থেকে 'সংগঠন স্পেশালিস্ট'দের আনছে BJP, প্ল্যানটা কী?

RFA - বিহারের পর এখন বিজেপির নজর পশ্চিমবঙ্গের দিকে। বিহারের পর এখন বাংলায় বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা চলছে। বিজেপি বাংলাকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে নেতা নিয়োগ করেছে। বিজেপি ছয়জন সংগঠন মন্ত্রী এবং ছয়জন নেতাকে ও থেকে এনেছে।

সাংগঠনিক মেরুদণ্ড শক্ত করাতেই জোর দিচ্ছে গেরুয়া শিবির।সাংগঠনিক মেরুদণ্ড শক্ত করাতেই জোর দিচ্ছে গেরুয়া শিবির।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 23 Nov 2025,
  • अपडेटेड 3:02 PM IST
  • পার্টির সংগঠন ঢেলে সাজাতে শুরু করল গেরুয়া শিবির।
  • পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করা হল গোটা রাজ্যকে।
  • সেই অঞ্চলগুলিতে দায়িত্ব পেলেন বিজেপির সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।

বিহারের ভোটযুদ্ধ মিটেছে। এবার বিজেপির টার্গেট পশ্চিমবঙ্গ। সেই লক্ষ্যেই পার্টির সংগঠন ঢেলে সাজাতে শুরু করল গেরুয়া শিবির। পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করা হল রাজ্যকে। আর সেই অঞ্চলগুলিতে দায়িত্ব পেলেন বিজেপির সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। আগামী পাঁচ মাস বাংলায় রীতিমতো আদাজল খেয়ে নামতে বলা হয়েছে এই নেতাদের। গত কয়েকবারের নানা নির্বাচনে বাংলায় সেভাবে পদ্মফুল ফোটেনি। বিশ্লেকদের মতে, তার মূল কারণ ছিল দূর্বল সংগঠন। এবার সেই সাংগঠনিক মেরুদণ্ড শক্ত করাতেই জোর দিচ্ছে গেরুয়া শিবির।

সূত্রের খবর, ছ’জন সংগঠন 'স্পেশালিস্ট' ও অন্য রাজ্যের ছ’জন নেতা-মন্ত্রী, মোট বারোজনকে বাংলার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকের অধীনে একটি করে অঞ্চল থাকবে। তাঁদের মূল কাজ হবে স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মাঠে নেমে সংগঠন জোরালো করা। 

রাঢ় বাংলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ছত্তীসগড়ের সংগঠন বিশারদ পবন সাইকে। তাঁর সঙ্গেই থাকছেন উত্তরাখণ্ড সরকারের মন্ত্রী ধন সিং রাওয়াত। পুরুলিয়া, বর্ধমান সহ গোটা পশ্চিমাঞ্চলেই বিজেপির ভিত মজবুত করাই তাঁদের 'অ্যাসাইনমেন্ট'।

হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর অঞ্চল দেখবেন দিল্লির সংগঠন এক্সপার্ট পবন রানা। তাঁর সঙ্গে হাওড়া, হুগলিতে দায়িত্বে থাকবেন হরিয়ানার প্রবীণ নেতা সঞ্জয় ভাটিয়া।

মেদিনীপুর ডিভিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী জে.পি.এস. রাঠোরকে। 

কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা দেখবেন হিমাচল প্রদেশের সংগঠন বিশারদ এম. সিদ্ধার্থন। তাঁর 'ডেপুটি' বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সি.টি. রভি।

নবদ্বীপ ও উত্তর ২৪ পরগনায় অন্ধ্র প্রদেশের সংগঠনমন্ত্রী এন. মাধুকর থাকবেন। সঙ্গে থাকছেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী সুরেশ রানা।

উত্তরবঙ্গের মালদা অঞ্চলে অরুণাচলের সংগঠনবিদ অনন্ত নারায়ণ মিশ্রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ি অঞ্চলে থাকবেন কর্নাটকের সংগঠন বিশারদ অরুণ বিননাড়ি। সূত্রের দাবি, এই এলাকায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কৈলাশ চৌধুরীও সংগঠন তৈরির দায়িত্বে থাকবেন।

বিহারের লড়াই জিতে এবার বাংলায় নিজেদের জয় নিশ্চিত করতে মরিয়া বিজেপি। রাজ্যকে এভাবে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করে সংগঠন তৈরির এই নতুন সমীকরণই তার সবচেয়ে বড় ইঙ্গিত।ফলে ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতি যে আরও বেশ তপ্ত হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement