
বন্দে মাতরম রচনার ১৫০ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দেশজুড়ে বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করল বিজেপি। বুধবার রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিক সন্মেলন করে জানান, আগামী ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে এক বছর ধরে পালিত হবে এই ঐতিহাসিক উপলক্ষ। এর প্রথম ধাপে আগামীকাল থেকে রাজ্যের ৬১টি স্থানে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে ‘অখণ্ড বন্দে মাতরম’ গানের কর্মসূচি, যা চলবে এক মাসব্যাপী।
বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের যুবসমাজকে বন্দে মাতরমের পূর্ণাঙ্গ রূপ ও ইতিহাসের সঙ্গে পরিচিত করানোই মূল উদ্দেশ্য। বক্তারা বলেন, 'বন্দে মাতরম শুধু একটি গান নয়, এটি ভারতের সাংস্কৃতিক আত্মার প্রতীক। যে স্লোগানে বিপ্লবীরা ফাঁসির মঞ্চে উঠেছেন, মাতঙ্গিনী হাজরার মতো স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, সেই গান আজও জাতির গর্ব।'
বিজেপি কংগ্রেসের সমালোচনা করে বলেন, '১৯৩৭ সালে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বন্দে মাতরমকে খণ্ডিত করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে অনেক রাজনৈতিক দল এই গানকে সাম্প্রদায়িক বলে আখ্যা দিয়েছে, যা লজ্জাজনক।'
এই কর্মসূচিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উপস্থিত থাকবেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। হুগলির বন্দে মাতরম ভবনে থাকবেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনশাল, উত্তর ২৪ পরগনার কাঁঠালপাড়ায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাসভবনে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার।
এছাড়া মুর্শিদাবাদের লালগোলায় থাকবেন রাহুল সিনহা, কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, এবং উত্তর ২৪ পরগনার অন্যত্র থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব।
শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'আমরা গর্বিত যে বন্দে মাতরম বাংলার মাটিতে সৃষ্টি হয়েছে। আনন্দমঠ উপন্যাস ও বন্দে মাতরমের মাধ্যমে যে ভারতীয় সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ গঠিত হয়েছিল, আজকের প্রজন্মের জানা প্রয়োজন।'
বিজেপি জানিয়েছে, সারা বছর জুড়ে দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শিক্ষামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর উদযাপন করা হবে।