তৃণমূল সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে রাজ্যের অন্য বিরোধী দলকে পাশে পাওয়ার বার্তা আগেই দিয়েছিলেন শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্য বিজেপি সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রথম বক্তৃতায় তৃণমূলকে হারানোর জন্য দল নির্বিশেষে সকলকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন শমীক। শুক্রবার দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে ফের একই আহ্বান জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বললেন, 'আগে তৃণমূলকে সরান, তারপরে যে যার নিজের রং দলকে বেছে নেবেন।'
ঠিক কী বলেছেন শমীক
বিজেপি রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর এদিন প্রথম বার প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ দেন শমীক। সভামঞ্চে মোদীর পাশে বসেন শমীক। দু'জনের আলাদা করে কথাও হয়। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ঠিক আগে বক্তৃতা করেন শমীক। বক্তব্যের শুরুতে 'নতুন বাংলা'র কথা বলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। বলেছেন, 'আজ বাংলা মুক্তি চায়, পরিত্রাণ চায়, ঘরের ছেলেকে ঘরে রাখতে চায়। নতুন বাংলা চাই, শিল্পের পুনরুত্থান চাই।'
শিল্পায়ন ছাড়া যে উন্নতি সম্ভব নয়, সে কথাও বলেছেন শমীক। বলেছেন, 'বাংলার মানুষ শিল্পায়ন চায়। দুর্গাপুর, আসানসোলের উত্থান দেখতে চান। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, ষাটের দশকের দুর্গাপুর, আসানসোলকে ফিরিয়ে দিন, শিল্পায়ন ফেরান। শিল্প ছাড়া কোনও পথ নেই। তিন ফসলি জমি কেড়ে নিয়ে শিল্প করার দরকার নেই।সমস্ত শিল্পপতিদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, বিনিয়োগ-বান্ধব রাজ্য পাবেন।'
এরপরেই রাজ্যবাসীর উদ্দেশে শমীক বলেন, 'বাংলাকে পশ্চিম বাংলাদেশ হতে দেব না।যে যেখানে থাকুন, কাউকে পতাকা ছাড়তে হবে না, মতাদর্শ হৃদয়ে রাখুন, মস্তিষ্কে রাখুন। কিছুদিনের জন্য দলের রংটা ভুলুন, আগে তৃণমূলকে সরান, তারপরে যে যার নিজের রং দলকে বেছে নেবেন।'
এর আগে, সিপিএম ও কংগ্রেসের উদ্দেশে শমীক বলেছিলেন, 'ভোট কাটার রাস্তায় গিয়ে, পিছনের দরজা দিয়ে তৃণমূলকে ফিরিয়ে আনবেন না... আমরা লড়াইয়ে প্রস্তুত। নো ভোট টু বিজেপি-র আড়ালে চক্রান্ত করবেন না। বিজেপি কারও দয়ায় এই জায়গায় পৌঁছয়নি। যার যা পতাকা আছে, কিছুদিনের জন্য সেগুলি আলমারির উপর তুলে রাখুন। পথে নামুন। তৃণমূলকে সরান।' ছাব্বিশের নির্বাচনে তৃণমূলের বিসর্জন হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।