উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে হালিশহর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মনসাতলা এলাকায়। অভিযোগ, বিজেপি কর্মী কার্তিক করকে একদল দুষ্কৃতী বেধড়ক মারধর করে।
জানা গিয়েছে, কার্তিক কর এলাকায় তাস খেলছিলেন। সেই সময় একদল যুবক এসে তাঁকে মারধর শুরু করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কার্তিক করের স্ত্রী শিপ্রা কর জানান, প্রাণ বাঁচাতে তাঁর স্বামী একটি ঘরে আশ্রয় নেন। কিন্তু দুষ্কৃতীরা তাঁকে ঘর থেকে টেনে বের করে ফের মারধর করে। এমনকি পুকুরে ঝাঁপ দিলেও রেহাই পাননি। আধ ঘণ্টা পর জল থেকে উঠে আসার পরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
শিপ্রা করের দাবি, ‘ওরা আমার স্বামীকে খুন করতে চেয়েছিল। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা ছুটে যাই। তাঁকে বাঁচাতে গেলে আমার এবং মেয়ের জামাকাপড় ছিঁড়ে দেয় দুষ্কৃতীরা।’
এই হামলার পেছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি রাজনৈতিক কারণ রয়েছে, তা জানা নেই বলে জানিয়েছেন কার্তিক করের স্ত্রী। ঘটনাটি ইতিমধ্যে পুলিশকে জানানো হয়েছে।
বিজেপির অভিযোগ, হামলার পেছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা ও ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, ‘স্থানীয় বিধায়ক এবং পৌরসভার চেয়ারম্যানের নির্দেশেই এই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল চাইছে ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে মানুষকে ভয় দেখিয়ে রাখতে। বিজেপি করলে মার খেতে হবে, তৃণমূল করলে রেহাই মিলবে। দলের নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনও লাভ নেই, যা করার আমাদেরই করতে হবে।’
তৃণমূল অবশ্য সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে। হালিশহর টাউন তৃণমূল সভাপতি প্রবীর সরকার বলেন, ‘আমরা কোনও হিংসার রাজনীতি করি না। ঘটনাটিকে বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত। এখন এসব লোকজনই বিজেপির সম্পদ হয়ে উঠেছে।’