Advertisement

Blast: বাড়িতে বারুদ মজুদ করছিলেন, গভীর রাতে তীব্র বিস্ফোরণ রহড়ায়, চাঞ্চল্য 

উত্তর ২৪ পরগনার রহড়া থানার অন্তর্গত বন্দীপুর ঠাকুর কলোনিতে সোমবার গভীর রাতে ঘটে গেল প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ। মুহূর্তে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা, ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

রহরায় বিস্ফোরণ।-ফাইল ছবিরহরায় বিস্ফোরণ।-ফাইল ছবি
স্বপন কুমার মুখার্জি
  • কলকাতা ,
  • 17 Nov 2025,
  • अपडेटेड 4:41 PM IST
  • উত্তর ২৪ পরগনার রহড়া থানার অন্তর্গত বন্দীপুর ঠাকুর কলোনিতে সোমবার গভীর রাতে ঘটে গেল প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ।
  • মুহূর্তে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা, ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

উত্তর ২৪ পরগনার রহড়া থানার অন্তর্গত বন্দীপুর ঠাকুর কলোনিতে সোমবার গভীর রাতে ঘটে গেল প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ। মুহূর্তে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা, ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে সেখানে তিন বছর ধরে ভাড়া থাকেন অভিজিৎ সিং ও তাঁর স্ত্রী-সন্তান। ওই বাড়িতেই নাকি বাজি তৈরির জন্য বারুদ মজুত করে রেখেছিলেন অভিজিৎ। রাতের বেলা সেই বারুদ থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে বলে দাবি ভাড়াটে দম্পতির। বাড়ির ভেতরে বিস্ফোরণের তীব্রতায় আসবাবপত্র নড়ে যায়, টিভি ছিটকে পড়ে মেঝেতে।

অভিজিতের স্ত্রী রুবি সিং জানান, 'দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে শুয়েছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। ছেলেকে নিয়ে বেরিয়ে এসে দেখি টিভি মাটিতে ভেঙে পড়ে আছে। তুবড়ি বানানোর জন্য বাড়িতে মসলা রেখেছিল স্বামী, সেখান থেকেই বিস্ফোরণ।'

বিস্ফোরণের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রহড়া থানার পুলিশ। উপস্থিত হন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অতিরিক্ত উপ নগর পাল ঘোলা তনয় চট্টোপাধ্যায়, রহড়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ঋগবেদ সাহা এবং বিশাল পুলিশ বাহিনী।

ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের উৎস বাজির বারুদ কিনা, নাকি অন্য কোনও রাসায়নিক পদার্থ জড়িত- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অতিরিক্ত উপনগর পাল তনয় চট্টোপাধ্যায় জানান, নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কোন পদার্থ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে, তা যাচাই করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়ছে, অভিযোগ প্রতিবেশীদের। বিস্ফোরণের পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম বেড়ে চলেছে। পুলিশ টহলদারি বাড়ানো দরকার।

দম্পতির দাবি অনুযায়ী বাজি তৈরির জন্য বারুদ রাখা থাকলেও এত পরিমাণ বিস্ফোরক গৃহস্থবাড়িতে মজুত রাখা আইনত অপরাধ। পুলিশ তা-ও তদন্ত করছে, আদৌ বাজি তৈরির জন্যই বারুদ রাখা ছিল কিনা, নাকি অন্য কোনও উদ্দেশ্যে।

রিপোর্টারঃ দীপক দেবনাথ

Advertisement

TAGS:
Read more!
Advertisement
Advertisement