Advertisement

হাসপাতালে BLO, থমকে SIR এর কাজ; চিন্তায় ঘুম উড়েছে বজবজের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের

BLO অসুস্থ। SIR এর কাজ কার্যত স্তব্ধ বজবজ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ডের ২৮ নম্বর পাটে দায়িত্ব পেয়েছিলেন বুথ লেভেল অফিসার (BLO) শুভ্র বিশ্বাস। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে কাজ করতে পারছেন না।

 প্রায় বারো দিন হাসপাতালে থাকার পর চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে বাড়ি পাঠানো হয়। প্রায় বারো দিন হাসপাতালে থাকার পর চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে বাড়ি পাঠানো হয়।
স্বপন কুমার মুখার্জি
  • বজবজ,
  • 01 Dec 2025,
  • अपडेटेड 7:30 PM IST
  • SIR এর কাজ কার্যত স্তব্ধ বজবজ পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে।
  • য়িত্ব পেয়েছিলেন বুথ লেভেল অফিসার (BLO) শুভ্র বিশ্বাস।
  • । কিন্তু প্রথম দিন থেকেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে কাজ করতে পারছিলেন না।

BLO অসুস্থ। SIR এর কাজ কার্যত স্তব্ধ বজবজ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ডের ২৮ নম্বর পাটে দায়িত্ব পেয়েছিলেন বুথ লেভেল অফিসার (BLO) শুভ্র বিশ্বাস। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে কাজ করতে পারছেন না। তাঁর দাবি, তিনি COPD র(এক ধরনের ফুসফুসের রোগ) রোগী। দায়িত্বপ্রাপ্তির আগেই সেই বিষয়ে বারবার নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিলেন। এরপরও কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ শুভ্রবাবুর। উল্টে তাঁর উপরই নাকি SIR এর কাজ চাপানো হয়েছে বলে দাবি সরকারি কর্মীর।

শুভ্রবাবুর কথায়, তাঁর আন্ডারে প্রায় ১,৪০০ ভোটার। শরীরের এই অবস্থায় তাঁর একার পক্ষে এত বড় কাজ সামলানো সম্ভব নয়। প্রথম প্রথম কয়েক দিন চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক সপ্তাহ কাজ করার পর তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। সেখানে ইসিজি সহ একাধিক পরীক্ষা হয়। প্রায় বারো দিন হাসপাতালে থাকার পর চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে বাড়ি পাঠানো হয়। ডাক্তারবাবুর নির্দেশ, পাঁচ দিন পর ফের চেকআপে আসতে হবে।

BLO জানান, হাসপাতালের সমস্ত নথিই তিনি কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কোনও দফতরই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। ফলে ২৮ নম্বর পাটের কাজ প্রায় বন্ধের মুখে দাঁড়িয়ে।

শুভ্রবাবুর স্ত্রী দীপা বিশ্বাস পাত্রের প্রশ্ন, 'আমার স্বামীর যদি কিছু হয়ে যেত, তবে আমি কী করে বাঁচতাম? আমার মেয়ে অসুস্থ, আমারও শরীর খারাপ। আমি একেবারে অসহায়। ওঁর এই অবস্থার জন্য সম্পূর্ণ দায় নির্বাচন কমিশনের।'

এলাকার কাউন্সিলর লুৎফর হোসেন জানিয়েছেন, বিষয়টি জানার পর তিনি ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দফতরে খবর দেন। প্রায় সাত দিন পরে নতুন BLO এসে কাজে হাত দেন। কিন্তু এতদিন SIR এর সমস্ত কাজ আটকেই ছিল। ফলে ফর্ম ফিলআপ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন স্থানীয়রা। অভিযোগ, সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ না হলে BLO দের ওপরই নেমে আসবে শাস্তির খাঁড়া।

কাউন্সিলরের ক্ষোভ, 'একজন অসুস্থ মানুষকে কীভাবে এমন দায়িত্ব দেওয়া হল? SIR এর কাজ থমকে যাওয়ার দায় সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের।'

Advertisement

সংবাদদাতা: সঞ্জয় কুমার মাঝি

Read more!
Advertisement
Advertisement