Advertisement

Suicide fear of SIR: কান্দিতে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী প্রৌঢ়়, '২০০২ -এর লিস্টে নাম না থাকায়...' দাবি পরিবারের

রাজ্যে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন বা SIR (Special Intensive Revision)-এর কাজ। মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে BLO-রা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া ঘিরে আতঙ্কের বলি হলেন এক প্রৌঢ়। মুর্শিদাবাদের কান্দিতে SIR আতঙ্কে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন মোহন শেখ (৫৫) নামে এক ব্যক্তি।

Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 04 Nov 2025,
  • अपडेटेड 6:09 PM IST
  • রাজ্যে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন বা SIR (Special Intensive Revision)-এর কাজ।
  • মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে BLO-রা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহে।

রাজ্যে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন বা SIR (Special Intensive Revision)-এর কাজ। মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে BLO-রা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া ঘিরে আতঙ্কের বলি হলেন এক প্রৌঢ়। মুর্শিদাবাদের কান্দিতে SIR আতঙ্কে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন মোহন শেখ (৫৫) নামে এক ব্যক্তি।

কী ঘটেছে
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত মোহন শেখের বাড়ি কান্দি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাগডাঙা এলাকায়। পরিবার জানিয়েছে, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম না থাকায় তিনি দীর্ঘদিন ধরেই দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন। SIR প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই তাঁর মনে আতঙ্ক বাড়তে থাকে। তিনি আশঙ্কা করছিলেন, এবার হয়তো তাঁকে দেশছাড়া হতে হবে।

পরিবার ও প্রতিবেশীরা অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলেও ভয় কাটেনি। মঙ্গলবার সকালে তিনি পাড়ার মাঠে গিয়ে কীটনাশক পান করেন। অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়, কিন্তু পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

আতঙ্কের শিকড়
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোহন প্রায়ই বলতেন, 'আমার নাম যদি তালিকায় না থাকে, তাহলে কী হবে?', এই আতঙ্কই তাঁকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছিল। পরিবারের দাবি, এই আশঙ্কাই তাঁর মৃত্যুর কারণ।

একের পর এক মৃত্যু
এটি একক ঘটনা নয়। গত ২৮ অক্টোবর, আগরপাড়ার প্রদীপ কর NRC আতঙ্কে আত্মহত্যা করেন। তাঁর ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়, যেখানে মৃত্যুর জন্য NRC-কে দায়ী করেন তিনি।

এরপর ৩০ অক্টোবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষিতিশ মজুমদার আত্মঘাতী হন। অভিযোগ, তিনিও ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নিজের নাম না পেয়ে মানসিক চাপে ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর নির্বাচন কমিশনের নামে এফআইআর দায়ের হয়।
২ নভেম্বর, দিঘার হোটেল মালিক শেখ সিরাজউদ্দিনের মৃত্যু হয় রামনগরে; যদিও তা হৃদরোগে, পরিবারের দাবি ছিল নথিতে নামের ভুল নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি। তাছাড়া হুগলির ডানকুনির হাসিনা বেগম-ও একই কারণে অসুস্থ হয়ে মারা যান বলে দাবি পরিবারের।

Advertisement

প্রশাসনের ভূমিকা
রাজ্য জুড়ে এখন BLO-রা ভোটার তালিকার সংশোধনের কাজ করছেন। তবে এই আতঙ্কজনক ঘটনাগুলির পর প্রশাসন কীভাবে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, 'SIR মূলত তথ্য যাচাইয়ের একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া, কিন্তু সেটিকে কেন্দ্র করে জনমানসে যে ভয় ছড়িয়ে পড়ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।'
 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement