পায়ের কাছে ছবি বিতর্কে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। একদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা বলছেন দুর্গাপুজোয় মায়ের মূর্তির পায়ের নীচে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি রাখতে। অন্যদিকে, বিজেপি মন্ত্রী তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের পায়ের নীচে দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছবি। এ নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ তৃণমূলের।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার মন্তব্যকেও নিশানা করেন ব্রাত্য। রেখা গুপ্তার দিল্লির সমস্ত বাঙালি টোলার দুর্গাপুজোয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি রাখার মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। দিন কয়েক আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "প্রত্যেক মণ্ডপে মায়ের মূর্তির পায়ের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ছবি রাখুন। যাতে মায়ের আশীর্বাদ পেয়ে তিনি দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারেন।”
এ প্রসঙ্গে রেখাকে কটাক্ষ করে ব্রাত্য বলেন, "বাঙালি টোলার পুজোয় সমস্ত পুজোয় প্রধানমন্ত্রীর মোদীর ছবি রাখতে হবে বলেছেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ৪০ হাজার পুজো কমিটিকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছেন। একটা পুজো কমিটিকেও কি রাজ্য সরকার, দল বা শাখা সংগঠন বলেছে সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ঝোলাতে হবে? তিনি খুশি হয়ে, বাংলার হেরিটেজের সম্মান রক্ষায় করছেন।"
বাংলা-বাঙালি মনীষীকে পায়ের তলায় রাখা নিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে তীব্র আক্রমণ শানান। বলেন, "বিজেপি কোনওদিনই বাঙালির নয়, বাঙালিকে সম্মান করে না। এই ঘটনা তারই প্রমাণ।”
সম্প্রতি তৃণমূল এক্স হ্যান্ডেলে একটি ছবি পোস্ট করে। সেখানে দেখা যায়, সুকান্ত মজুমদার যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছেন সেখানে পায়ের কাছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এভাবে কীভাবে তিনি রাজনৈতিক কর্মসূচি চালিয়ে গেলেন সে প্রশ্ন ওঠে। এতে বাংলা ও বাঙালির অপমান বলে তারা দাবি করেন।