Bratya Basu Vs Governor CV Anand Bose: শুক্রবার, আজ দুপুর ২টোয় বিকাশ ভবনে ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। রেজিস্ট্রারদের বৈঠকে যোগ দিতে নিষেধ করেছে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যেরা। কারণ, রাজভবন থেকে শিক্ষামন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যেতে ‘নিষেধ’ করা হয়েছে। এমনটাই জানাচ্ছেন, অন্তর্বর্তী উপাচার্যেরা।
এই ঘটনায় শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শিক্ষায় অরাজকতা সৃষ্টির অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “আমাদের মনে হচ্ছে রাজ্যপাল সম্পূর্ণ সংবিধান বহির্ভূত কাজ করছেন। অপসারিত উপাচার্যদের সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। জঘন্য অভিযোগ এনে উপাচার্যদের সম্মানহানি করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল নিজে যাঁদের নিয়োগ করছেন, তাঁরা ধোয়া তুলসিপাতা।”
তিনি বলেন, “বাংলার মানুষের উদ্দেশে রাজ্যপাল সরাসরি বার্তা দিতে পারেন কিনা, সেটি নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। এছাড়া, অন্তবর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগের কথা সংবিধানের কোথাও লেখা নেই। যে ইউজিসির নির্দেশিকার কথা উনি (রাজ্যপাল) দিন-রাত বলছেন, সেখানেও অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগের কোনও বিধান নেই।”
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগ এবং তার পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়ে সম্প্রতি রাজভবনের পক্ষ থেকে একের পর এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও স্থায়ী উপাচার্য নেই, সেখানে জরুরি পরিস্থিতিতে তিনিই অন্তবর্তিকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব সামবেন। রাজ্যপালের এ হেন বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আচার্য তিনি, উপাচার্যও তিনি। একই অঙ্গে দুই রূপ রাজ্যপালের।”
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নিয়োগ এবং পরিচালনা ঘিরে ক্রমশ তীব্র হচ্ছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। এর আগে আরও একটি নির্দেশিকায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যা লয়ের উপাচার্যদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়। রাজভবনের ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, আচার্যের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে উপাচার্যের হাতেই। রাজ্য সরকার যে কোনও নির্দেশ দিতেই পারে। তবে সেই নির্দেশ উপাচার্য মান্যতা দিলেই তবেই কার্যকর হবে। রাজ্যপাল আইন-সংবিধান বহির্ভূত কাজ করছেন বলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।