স্বাধীনতা দিবসের সকালেই বর্ধমানে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। শুক্রবার সকালে জেলার ফাগুপুর জাতীয় সড়কে পুণ্যার্থী বোঝাই একটি বাস দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিতে ধাক্কা মারে। ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যুর হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ২ মহিলা। এই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আরও ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর।
জানা গিয়েছে, পুণ্যার্থী বোঝাই ওই বাসটি কলকাতা থেকে দুর্গাপুরের দিকে যাচ্ছিল। যাত্রীরা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা। ৫ শিশু সহ মোট ৪০ জন ছিলেন বাসে। তাঁরা গঙ্গাসাগর থেকে স্নান সেড়ে ফিরছিলেন। প্রায় সকলেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আচমকাই প্রবল ঝাঁকুনি হয়। একাধিক যাত্রী সিট থেকে ছিটকে পড়েন। কীভাবে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বাসের চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সেই থেকেই দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাসটির গতিও দেখছেন তদন্তকারীরা। আবার প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ট্রাকটি রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়েছিল। বাসটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারানোতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সুপার তাপসকুমার ঘোষ জানিয়েছেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ৩৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত এই বাসের এক আহত যাত্রী বিশ্বজিৎ কুমার বলেন, ‘আমরা বিহারের বাসিন্দা। দুর্গাপুরের দিকে বাসটি যাচ্ছিল। সকলেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। প্রবল ঝাঁকুনিতে আমার চোখ খোলে। আমি ছিটকে বাসের সামনের দিকে পড়ি। কপালে আঘাত লেগেছে। কী করে যে সবকিছু ঘটে গেল!’