তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের দিন রবিবার সন্দেশখালিতে সভা করতে পারবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে শুভেন্দুকে শর্ত বেঁধে দিয়েছে আদালত। সভায় কোনও ভাবেই উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে পারবেন না শুভেন্দু, এমনই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রবিবার সকাল ১০টা থেকে ৫ টার মধ্যে সভা করতে পারবেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
রবিবার ব্রিগেডে তৃণমূলের সভা রয়েছে। ওই দিন সন্দেশখালিতে সভা করতে শুভেন্দুকে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। যা নিয়ে মামলা গড়ায় আদালতে। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। সেই মামলায় অবশেষে শুভেন্দুকে শর্তসাপেক্ষে সন্দেশখালিতে সভা করতে নির্দেশ দিল আদালত।
অতীতে সন্দেশখালি যেতে বাধার মুখে পড়েছিলেন শুভেন্দু। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে শুভেন্দু সন্দেশখালি যান। সন্দেশখালির বাসিন্দাদের উদ্দেশে বিরোধী দলনেতা বলেন, 'রাতে পুলিশের পোশাক পরে কেউ এলে শাঁখ বাজাবেন। যত মন্দির আছে, মাইক লাগিয়ে রাখবেন। কেউ ঘরে এলেই চোর এসেছে, দস্যু এসেছে বলে ওই মাইকে চিৎকার করতে হবে। সন্ধ্যার পর অচেনা লোক এলে, পুলিশ এলে শাঁখ বাজাবেন।' গতকাল সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ফের পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়, ভারতী ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পালরা। এর আগে, সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
অন্য দিকে, অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন সন্দেশখালিকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। গ্রেফতারির পর প্রথমবার মুখ খুললেন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া নেতা। শুক্রবার শাহজাহান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বললেন, 'সব মিথ্যা, সব মিথ্যা। প্রমাণ হবে। আল্লাহ, একদিন বিচার করবে।'
সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। যে ঘটনা ঘিরে সরগরম রাজনীতির ময়দান। ঘটনার ৫৫ দিন পর গ্রেফতার করা হয়েছে শাহজাহানকে। মঙ্গলবার এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপর থেকেই সিবিআইয়ের হাতে শাহজাহান। সন্দেশখালি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআইয়ের হাতে শাহজাহানকে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। বুধবার সেই মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে শীর্ষ আদালত।