Abishek Banerjee-Primary Recruitment Case: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। ইডিকে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে রায় ঘোষণা হয়। তাতেই রক্ষাকবচ মেলে অভিষেকের।
প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির এফআইআর খারিজ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই মামলার পাশাপাশি লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির অফিসে ইডির তল্লাশির বিষয়টিও যুক্ত হয়। এ সপ্তাহেই অভিষেকের মামলার শুনানি শেষ হয়। আজ রায় ঘোষণা হয়।
তবে এখনই ইসিআইআর (যা এফআইআরের সমতুল্য) খারিজ হবে না বলে জানিয়েছে আদালত। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ইসিআইআর (এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট) বাতিল করার আবেদনটি খারিজ করে দেন। বলেন, ইডি বিষয়টি নিয়ে যেমন তদন্ত করছে তা করবে। ইডি সূত্রে খবর, এই আদেশের পর পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তারা।
গত বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর সল্টলেকের ইডি-র দফতরে হাজিরা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, ২১ অগাস্ট প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতরে তল্লাশি চালায় ইডি। ইডি-র বক্তব্য এই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসেই সিইও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি যে পরে ইস্তফা দিয়েছেন, তার প্রমাণ মেলেনি বলে দাবি ইডি-র। এই সংস্থার মাধ্যমে বিপুল টাকার বেআইনি লেনদেন করা হয়েছে বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এর আগে জনজোয়ার যাত্রার সময়ে, ২০ মে অভিষেককে ডেকে কয়লা পাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কয়লা পাচার কাণ্ডে তাঁর স্ত্রী রুজিরাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।