চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের সুবিধার জন্য প্রশাসনকে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যার মধ্যে রয়েছে বায়ো টয়লেট, তাঁবু টাঙানোর প্রস্তাবও। শুক্রবার হাইকোর্টের রায়ে স্বস্তি পেয়েছেন আন্দোলনকারী চাকরিহারা এবং এফআইআরে নাম থাকা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ, এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। পুলিশকে 'ধীরে চলো' নীতি পালনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি, সল্টলেকে সেন্ট্রাল পার্ক লাগোয়া এলাকায় অবস্থানে বসার পরামর্শ দিয়েছে আদালত।
কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে?
জানা গিয়েছে, শুক্রবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন যে, সম্ভব হলে অস্থায়ী তাঁবু টাঙিয়ে দিক প্রশাসন। বায়ো টয়লেট, পানীয় জলের ব্যবস্থা করার কথাও বলেছে আদালত। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে যে শোকজ নোটিস জারি করা হয়েছে, সেটাও কার্যকর করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি ঘোষ বলেছন, 'আপনারা ওখানে ১৫-১৬ দিন আন্দোলন করছেন। আপনাদের প্রতি আমি সমব্যথী। কিন্তু আমায় তো সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে। আপনারা উল্টোদিকে সেন্ট্রাল পার্কে অবস্থান করুন।' আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করবেন।
মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই শিক্ষক নেতা ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল ও সুদীপ কোনার। সেই মামলার শুনানিতে চাকরিহারাদের উদ্দেশে বিচারপতি সেন্ট্রাল পার্কে অবস্থান করার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি, আদালত জানিয়েছে, ২০০ জন করে আন্দোলনকারী রোটেশনার পদ্ধতিতে অবস্থান-বিক্ষোভ করতে পারবেন।
কয়েক দিন আগে, বিকাশ ভবন ঘেরাও অভিযান করেন চাকরিহারা। কোনও পরীক্ষা নয়, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সসম্মানে তাঁদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে, এমন দাবিতেই সরব চাকরিহারারা। যে অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটেছিল বিকাশ ভবনের সামনে।