
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও কাটল জট। স্থায়ী উপাচার্য পেল ৬ বিশ্ববিদ্যালয়। তালিকায় রয়েছে যাদবপুর, কলকাতার মতো নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। রাজভবনের তরফেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন আশুতোষ ঘোষ, গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আশিস ভট্টাচার্য, যাদবপুরে চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য, সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ে চন্দ্রদীপা ঘোষ, বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু তালেব খান ও উদয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ওই ৬ জনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। তারপরই পদে বসানোর সিদ্ধান্ত।
রাজ্যের ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল আগেই। তার মধ্যে আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এমনটাই দাবি শিক্ষা দফতরের। তার মধ্যে রয়েছে এই ৬টিও। গত ৬ অক্টোবর রাজ্যের এই ছটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সবুজ সংকেত পেয়ে যায়। বাকি দুই উত্তরবঙ্গ ও রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নামে রাজ্যপাল আপত্তি জানিয়েছিলেন বলে খবর। সূত্রের দাবি, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ণব সেন এবং উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্য়ালয়ে স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে ওমপ্রকাশ মিশ্রের নামে রাজ্যপালের আপত্তি রয়েছে। সেজন্য ওই দুটোতে এখনও উপাচার্য ঠিক করা যায়নি।
পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে স্থায়ী উপাচার্য ছিল না ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজ্য সরকার নাম পাঠালেও তাতে সম্মতি দেননি রাজ্যপাল। ফলে চরমে ওঠে সংঘাত। মামলাও হয় সুপ্রিম কোর্টে। বর্তমানে সেই শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই আপাতত ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী উপাচার্য পেল।
বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কবে নিয়োগ হবে সেই সংক্রান্ত একটি বৈঠক ১৫ অক্টোবর হওয়ার কথা ছিল। সরকারের প্রতিনিধি ও রাজ্যপালের আইনজীবীরা সেখানে উপস্থিত থাকতেন। তবে তা ভেস্তে যায়। শোনা যাচ্ছে, নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে সেই বৈঠক হতে পারে।