শনিবার গভীর রাতে হাওড়ায় গাড়ি দুর্ঘটনা। মৃত চালক-সহ দুই। শিবপুরের ফরশোর রোডের ঘটনা। এদিকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িতে মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লার নামফলক লাগানো ছিল। যদিও সেই গাড়িতে ছিলেন না তিনি। পরে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, গাড়িটি তাঁর নয়। ঘটনার সময় গাড়িতে মোট ৫ জন ছিলেন। চালক-সহ মোট ২ জন প্রাণ হারান। বাকি ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাত একটা নাগাদ ফরশোর রোড দিয়ে গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন চালক মোস্তাক খান(২৫)। সেই সময় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেলারে ধাক্কা মারে গাড়ি। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সওয়ারিরা প্রত্যেকেই চালকের আত্মীয় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, অত্যন্ত দ্রুত গতিতে আসছিল গাড়িটি। রাস্তার এক পাশে দাঁড়িয়ে ছিল ট্রেলার। হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রেলারের পিছনের অংশে এসে ধাক্কা মারে গাড়িটি। সংঘর্ষের তীব্রতায় ট্রেলার পিছনের অংশে আটকে যায় ছোট সাদা গাড়িটি।
গাড়িটি এমনভাবে আটকে যায় যে ভিতর থেকে আহত যাত্রীরা বের হতেও পারছিলেন না। এদিকে মধ্যরাতে বিকট শব্দ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। পুলিশের কাছে খবর যায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় শিবপুর থানার পুলিশ।
এরপর আহত যাত্রীদের গাড়ির ভিতর থেকে বের করে আনা হয়। তাঁদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চালক ও এক যাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আপাতত ৩ যাত্রীর চিকিৎসা চলছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চালকের পরিবার সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার বাড়িতে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মোস্তাক। মৃত চালকের বাবা জানান, MLA গিয়াসউদ্দিন মোল্লার গাড়ি চালাতেন তিনি। সেই কারণেই গাড়ির সামনে তাঁর নেমপ্লেট। সেই গাড়িতেই দুর্ঘটনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
যদিও সংবাদমাধ্যমকে বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা জানিয়েছেন, এটি তাঁর গাড়ি নয়। তাঁর একটি স্করপিও গাড়ি রয়েছে। তাতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। কোনও দুর্ঘটনার কথা তিনি জানেনও না, দাবি বিধায়কের।