
রাজ্যে কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে তৎপর সিবিআই। রাজ্যের একসঙ্গে একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আধিকারিকরা। সেইসঙ্গে তল্লাশি চালানো হয় কয়লা পাচার চক্রের অভিযোগে নাম উঠে আসা ব্যবসায়ী লালার বাড়িতেও।
তল্লাশি লালার বাড়িতেও
সূত্রের খবর, এদিন লালা ওরফে অনুপ মাঝির বাড়িতেও হানা দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, এর আগেও কয়লা পাচার কাণ্ডে নাম উঠেছিল এসেছিল ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি। আগে তার অন্তত ২২টি অফিসে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। এবারও তার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। এদিন কলকাতা-সহ আসানসোল, দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ, বর্ধমান ও দুই ২৪ পরগনা একাধিক জায়গায় তল্লাশি চলেছে। ৩টি রাজ্য মিলিয়ে মোট ৪০টি জায়গায় এদিন তল্লাশিতে নামে সিবিআই আধিকারিকরা।
বেআইনি কয়লা পাচার যোগের তদন্তে আগে থেকে সক্রিয় ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। ঝাড়খণ্ড ও বাংলা সীমান্ত দিয়ে বেআইনি কয়লা পাচারের অভিযোগ উঠেছে পুরুলিয়ার ব্যবসায়ী লালার বিরুদ্ধে। তাকে নজরে রেখেছে আয়কর দফতর। আয়করে হেরফের করার অভিযোগে তাকে নোটিশও পাঠানো হয়। এহেন লালার সঙ্গে রাজ্যের বেশি কিছু রাজনৈতিক নেতাদেরও যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ।
একাধিক এলাকায় তল্লাশি
৭ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুদিনের বঙ্গ সফরে এরাজ্যে আসেন। সেইসময়ে বেআইনি কয়লা পাচার তদন্তে রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। পরে সেই ইস্যু তুলে ধরে অমিত শাহ বলেন, , "আমি শুনেছি লালা বলে একজনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে পরিষ্কার করে বলুক লালার সঙ্গে তাদের কী সম্পর্ক রয়েছে। কয়লার রাজস্ব কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারই পায়। কয়লার রাজস্ব চুরি করা একজন ব্যক্তির জন্য এতো চিন্তার কী আছে ? পাল্টা আক্রমণ করে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ''কোথায় কোথায় লালার টাকা যায় ওরাই খুঁজে বের করুন, দেশের কয়লাখনি গুলি কেন বিক্রি করা হল?'' সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতে ফের কয়লা পাচার চক্রের তদন্তে সক্রিয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।