সন্দেশখালির তদন্তে এবার নয়া মোড়। শাহজডাহানের ডেরাতেই অস্থায়ী ক্যাম্প খুলল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই সন্দেশখালিতে নতুন করে আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে। মহিলারা একাধিক অভিযোগও করেছেন। এই প্রেক্ষিতেই সেখানে অস্থায়ী ক্যাম্প খুলল CBI।
সূত্রের খবর, সন্দেশখালিতে থেকেই তদন্ত করবেন আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের কাছে সন্দেশখালি নিয়ে যে অভিযোগগুলি জমা পড়েছে, সেগুলো খতিয়ে দেখার জন্য এই ক্যাম্প খোলা হয়েছে। সন্দেশখালির সাধারণ মানুষ সিবিআই ক্যাম্প অফিসে গিয়ে নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারবেন। ইতিমধ্যেই একাধিক সিবিআই আধিকারিক সন্দেশখালি পৌঁছে গেছেন। তাঁরা সেখানেই ক্যাম্প করে রয়েছেন। সূত্রের আরও খবর, এতদিন পর্যন্ত মেল মারফত অভিযোগ নিচ্ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেটা চালি থাকবে। একইসঙ্গে সন্দেশখালির মহিলা ও পুরুষরা আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে সরাসরি কথা বলতে পারবেন।
সূত্রের খবর, সন্দেশখালির ধামাখালি বাজার এলাকায় ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। যেখানে নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করা হবে। CBI-এর একটি দল ইতিমধ্যেই ধামাখালি এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস স্থাপনের জন্য পৌঁছেছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালি মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে খবর, একটি ক্যাম্প স্থাপন করা হলে সিবিআইকে বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করতে সাহায্য করবে এবং সন্দেশখালির লোকেরাও এলাকার বাইরে না গিয়ে নির্দ্বিধায় কথা বলতে পারবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাতের অন্ধকারে এক মহিলাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সন্দেশখালিতে। ওই মহিলার অভিযোগ, 'রাতে বাড়ির বাইরে কুকুরের ডাক শুনে বাইরে বের হই। তখনই কে যেন পিছন থেকে মুখ চেপে ধরে। জোর করে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছিল। গ্রামের মাঠে অনেকগুলো কুকুর ছিল। তারা চিৎকার শুরু করতেই ওরা পালিয়ে যায়।'
ঘটনায় এফআইআর রুজু করে তদন্তে নামল পুলিশ। মহিলা অভিযোগপত্রে নাম নিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক-সহ মোট পাঁচ জনের। থানায় অভিযোগ দায়েরও হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সেই অভিযোগকে এফআইআর হিসাবে গণ্য করার খবর পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, এফআইআরে নাম রয়েছে তৃণমূল নেতা দিলীপ, তাঁর সঙ্গী সৈকত দাসদের। ঠিক তারপরই সন্দেশখালিতে ক্যাম্প খুলল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।