২৩ শে জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ভবনে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর একটি নেতাজির সুভাষচন্দ্র বসুর একটি ছবিতে মাল্যদান ও শ্রদ্ধার্ঘ্য করেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু মহুয়ার দাবি ওই ছবিটি আসলে গুমনামি বাবায় অভিনয় করা প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়ের। এর পরেই শুরু হয় বিতর্ক। যদিও বিতর্ক শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জবাব আসে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। কেন্দ্র তরফে দুটি ছবি প্রকাশ করা হয়। একটি গুমনামি বাবা অভিনয় করা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও দ্বিতীয়টি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর। সেখানে কেন্দ্র বলে, রাষ্ট্রপতি ভবনে নেতাজির ছবিটি আসল, এই ছবিটির উপর(কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত ছবি) নির্ভর করে তৈরি। বিকৃত তথ্য পরিবেশন করে ভুয়ো বিতর্ক তৈরির চেষ্টা চলছে।
বিজেপি বনাম তৃণমূল
শুধুমাত্র মহুয়া মৈত্র নন। বেশ কয়েকজনও কমেন্ট বক্সেও একই কথা বলেছেন। প্রসঙ্গত নেতাজির জন্মবার্ষিকী ঘিরে এমনিতে বিজেপি বনাম তৃণমূল তরজা অব্যাহত। রাজ্যের তরফে দেশনায়ক দিবস হিসাবে দিনটিকে ঘোষণা করা হয়। পাল্টা কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয় পরাক্রম দিবস হিসাবেষ এমনকি কেন্দ্র ও রাজ্য়ের তরফে পৃথক কমিটিও তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ দেওয়ার সময়ে জয় শ্রী রাম স্লোগান দেওয়া হয় ভিক্টোরিয়ায়। সেই ক্ষোভে ভাষণই দেননি মমতা। তারপর থেকেই বিজেপি ও তৃণমূল দুই শিবিরই একে অপরের উদ্দেশ্যে আক্রমণ করছে। এবার তাতে নয়া সংযোজন রাষ্ট্রপতির মাল্যদান করা নেতাজির ছবি।
আরও পড়ুন, 'নেতাজি ভেবে প্রসেনজিতের ছবিতে মালা দিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ,' ট্যুইটে খোঁচা মহুয়ার
কী দাবি মহুয়ার
এদিন ট্যুইটে মহুয়া লেখেন, রাম মন্দির তৈরির জন্য ৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়ে নেতাজির বায়োপিক নিয়ে তৈরি ছবি গুমনামি বাবার অভিনেতা প্রসেনজিতের ছবিতে মাল্যদান করছেন রাষ্ট্রপতি। স্বাভাবিত ভাবেই মহুয়ার এই ট্যুইট ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয়নি। গুমনামি বাবার ছবিটির পরিচালক ছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও নেতাজি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তারাও এই বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি। শুধু মহুয়া মৈত্র নন। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন ট্যুইটারে নেটিজেনদের একাংশ।