কোলাঘাটে বিক্ষোভের মুখে দিলীপ ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদার। ভেস্তে গেল দিলীপের চা-চক্র। বিজেপি নেতার গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ। মমতার আমন্ত্রণে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে গিয়েছিলেন তিনি। সেই রোষই এসে পড়ল তাঁর ওপর। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তুমুল বচসা হয় বিজেপির বিক্ষোভকারীদের।
বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন স্ত্রী রিঙ্কু। বলেন, "পার্টিতে এখন ৩টে লাইন চলছে।" পাল্টা আন্দোলনকারীরা বলেন, "দাদা অপরাধ করেছেন।"
এদিন সকালে দিঘায় স্ত্রীকে পাশে নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরোন দিলীপ। সেখান থেকে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন। রাজ্য বিজেপিতে বিজেপির লাগাতার হার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। দিলীপ এদিন বলেন, "মন্দির যে তৈরি করুক, ভগবান সবার হয়। কালীঘাটের মন্দির কে তৈরি করেছে সবাই ভুলে গেছে, রামমন্দির কে তৈরি করেছে ভুলে যাবে। তবে ভগবানকে কেউ ভুলবে না। পশ্চিমবঙ্গে সব কিছুতে রাজনীতি হয়।"
শুভেন্দু-সৌমিত্রকে আক্রমণ করে বলেন, "বড় বড় কথা বলছেন কারা? যাঁরা মমতা ব্যানার্জির আঁচলের তলায় থেকে নেতা হয়েছেন। যাঁরা কালীঘাটের উচ্ছিষ্ট খেয়েছে তাঁরা দিলীপ ঘোষকে ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট দিচ্ছে। যাঁরা ৪-টে বিয়ে করে, ১৪টা গার্লফ্রেন্ড রাখে। দিন আর রাতের জীবন আলাদা। তাঁরা দিলীপ ঘোষকে ত্যাগী, ভোগী বলছে। মানুষ জানে দিলীপ ঘোষ কী। আমার মন আর মুখ এক। পর্দার আড়ালে কথা বলি না। রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথআ বলি। দিলীপ ঘোষ বাংলা পাল্টাতে এসেছে। তিনি পাল্টাবেন না।"
শুধু কোলাঘাট নয়, কিছু জেলায় বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মীরা দিলীপ ঘোষের ছবিতে জুতোর মালা পরাতেও দেখা যায়। স্লোগান ওঠে ‘দিলীপ ঘোষ মুর্দাবাদ’, ‘দিলীপ ঘোষকে দল থেকে বহিষ্কার করো’, ‘দিলীপ ঘোষের কালো হাত ভেঙে দাও’। বিক্ষোভকারীদের দাবি বহুদিন ধরেই দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা করার পরিকল্পনা কাজ করছেন। দিলীপ দাবি করেন, 'কিছু মানুষ আছে যারা বিজেপিকে কাজ করতে দিচ্ছে না। এরা এসছে, চলে যাবে। আমি কার্বলিক অ্যাসিড দিতেই সব সাপখোপ বেরিয়ে গেছে। তথাগত বাবু কি করেছেন? পার্টির টাকায় মদ খেয়েছেন।'