Advertisement

ভারতে সাইবার হানার ছক কষেছিল হান, তথ্য পেল গোয়েন্দারা

কালিয়াচক থানার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিলিক সুলতানপুর থেকে ধৃত হান জুনওয়েকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য এল গোয়েন্দাদের হাতে। তাঁরা জানতে পেরেছেন ভারতে সাইবার হানার ছক কষেছিল হান। যা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন প্রশাসন।

ধৃত চিনা নাগকিক
মিল্টন পাল
  • মালদা ,
  • 13 Jun 2021,
  • अपडेटेड 4:30 PM IST
  • ধৃত চিনা অনুপ্রবেশকারীকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য এল গোয়েন্দাদের হাতে
  • ভারতে সাইবার হানার পরিকল্পনা করেছিল হান

কালিয়াচক থানার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিলিক সুলতানপুর থেকে ধৃত হান জুনওয়েকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য এল গোয়েন্দাদের হাতে। তাঁরা জানতে পেরেছেন ভারতে সাইবার হানার ছক কষেছিল হান। যা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন প্রশাসন। 

হানকে জেরা করে এর আগে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিলেন, ১৩০০ ভারতীয় সিম চিনে পাচার করেছে সে। যা নিয়ে নড়েচড়ে বসেন গোয়েন্দারা। তারপর গতকাল তাঁকে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তারপর ফের হানকে জেরা করতে থাকেন পুলিশ আধিকারিকরা। 

সূত্রের খবর পুলিশ হানকে জেরা করে জানতে পেরছে, চিনের সেনা ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছে সে। তার রয়েছে স্নাতক ডিগ্রি। পড়াশোনা করেছে ইংরেজি নিয়ে। কেন ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করেছে হান, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে খবর, হানের ল্যাপটপের পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সে মালদায় প্রবেশ করে মালদা থেকে নেপাল-ভুটানের যেতে পারত। সেটাই ছিল তার উদ্দেশ্য। 

আরও পড়ুন : ডাকাতির আগেই গড়িয়ায় পুলিশের জাল ৬, উদ্ধার অস্ত্র, মোবাইল

প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার মালদার কালিয়াচক থানার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিলিক সুলতানপুর এলাকায় ভারতে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ভারতে প্রবেশ করার সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে হান জুনওয়ে। তার কাছ থেকে ভারতীয় মোবাইলের সিম,বাংলাদেশি মোবাইলের সিম,এবং চাইনিজ মোবাইলের সিম ল্যাপটপ ও বেশ কিছু ডিভাইস উদ্ধার হয়। বিএসএফের পক্ষ থেকে প্রেস বিবৃতিতে দাবি করা হয়, হান  চাইনিজ গোয়েন্দা সংস্থা সিক্রেট এজেন্সির সাথে যুক্ত। এরই মধ্যে উত্তর প্রদেশে পুলিশের লখনউ এটিএস দাবি করে, হানের নামে উত্তরপ্রদেশেও মামলা রয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে আর্থিক প্রতারণার ঘটনায় ১৮ জনকে উত্তরপ্রদেশ এটিএস গ্রেপ্তার করে। তখনই উঠে আসে হানের নাম। হানের স্ত্রীও গ্রেপ্তার হয়। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যায় এই হান। 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement