Advertisement

সালিশি সভা থেকে অপহরনের অভিযোগ TMC নেতার বিরুদ্ধে, ব্যাপক চাঞ্চল্য মালদায়

রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে অনেক সময় দাদাগিরির অভিযোগ ওঠে। কোনও কোনও সময় নেতা মন্ত্রীদের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধেও ওঠে দাদাগিরির অভিযোগ। অন্যদিকে আবার, কোনও কোনও সময় সিভিক ভলান্টিয়ারদের একাংশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

tmctmc
প্রীতম ব্যানার্জী
  • মালদা,
  • 05 Sep 2025,
  • अपडेटेड 7:24 PM IST

রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে অনেক সময় দাদাগিরির অভিযোগ ওঠে। কোনও কোনও সময় নেতা মন্ত্রীদের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধেও ওঠে দাদাগিরির অভিযোগ। অন্যদিকে আবার, কোনও কোনও সময় সিভিক ভলান্টিয়ারদের একাংশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এবার তেমনই এক ঘটনা ঘটল। দাদাগিরির অভিযোগ উঠল মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। রাজ্যের মন্ত্রী তাজমুল হোসের ঘনিষ্ট সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে উঠল দাদাগিরির অভিযোগ। শুধু তাই নয়, মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে।

জানা গিয়েছে স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ মেটাতে সালিশি সভা ডাকেন মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ স্থানীয় তৃণমূল নেতা। তারিকুল ইসলাম নামে ওই তৃণমূল নেতা আবার পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁর স্ত্রী তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। সালিশিতে মধ্যস্থতা না হওয়ায় যুবকের পরিবারের কাছে দুই লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। টাকা না দিলে অপহরণ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করলেও অভিযোগপত্র থেকে নাম তুলে নেওয়ার জন্য ক্রমাগত নাকি হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে দোকানে আগুন দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে আক্রান্তরাও তৃণমূল কর্মী।

নারায়ণপুরের বাসিন্দা গোলাম রসুলের সঙ্গে বিহারের পূর্ণিয়ার রিজওয়ানা পারভীনের কয়েক মাস আগে বিয়ে হয়। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। সেই অশান্তি মেটানোর জন্য গত অগস্ট মাসের ২৩ তারিখ সালিশি সভা ডাকেন তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী তারিকুল ইসলাম। তিনি আবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। সালিশিতে মধ্যস্থতা না হলে থানায় নিয়ে যাওয়ার নাম করে গোলাম রসুলকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। তারিকুল-সহ রসুলের স্ত্রীর বাপের বাড়ির বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে বিহার থেকে গোলাম রসুলকে উদ্ধার করে পুলিশ। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেতা তথা সিভিক ভলান্টিয়ার।

Advertisement

আরও পড়ুন

এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রূপেশ আগরওয়ালের কটাক্ষ, রাজ্যে আইনের শাসন নেই। তৃণমূলের কর্মীরাও তালিবানিরাজের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না।

জেলা তৃণমূলের সহসভাপতি শুভময় বসু  বলেন, তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার একটা চেষ্টা হচ্ছে। বিজেপি মদত দিচ্ছে। সঙ্গে কংগ্রেস-সিপিএম-ও আছে।

অন্যদিকে কার্যত তারিকুলের পাশে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী তাজমুল হোসেনের দাবি, অভিযোগ থাকতেই পারে। তার প্রমাণ থাকতে হবে। বাকিটা পুলিশ দেখবে।

Read more!
Advertisement
Advertisement