Mamata Attacks Congress for Communal clash: ওয়াকফ নিয়ে হিংসার ঘটনায় কংগ্রেসকে দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার দাবি, মালদা দক্ষিণে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেসের জেতা আসনে গণ্ডগোল হয়। উল্লেখ্য, লোকসভার এই আসনটিতে কংগ্রেসের ইসা খান সাংসদ। মালদার মোথাবাড়িতে সর্বপ্রথম অশান্তি শুরু হয়। দিন কয়েকের মধ্যে এখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। এরপর মুর্শিদাবাদে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে এই ঘটনায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন মমতা। অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোটকে আমন্ত্রণ জানান। এদিন ইমাম, মোয়াজ্জেমদের সঙ্গে নেতাজি ইন্ডোরে বৈঠক ছিল। সেখান থেকে বিজেপি সহ চন্দ্রবাবু নাউডু, নিতিশ কুমারকেও নিশানা করেন মমতা।
কংগ্রেসকে দুষে এদিন মমতা বলেন, "ওয়াকফ নিয়ে কিছু অশান্তি ঘটেছে। প্ররোচনামূলক কথা হয়েছে। এটা মুর্শিদাবাদ না, হয়েছে মালদাতে। ওটা কংগ্রেসের জেতা আসন। জেতার সময় জিতবে আর দাঙ্গা হলে পরিস্থিতি সামলাবেন না এটা হয় না। তৃণমূল যদি করত তাহলে তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙা হত না। কর্মীদের বাড়ি ভাঙা হত না। আমি উস্কানি দিতে আসিনি। কারণ আমি শান্তি চাই।"
এদিন কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মমতা আরও বলেন, "আমাদের সংবিধান সম্পত্তি অর্জন ও রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আপনি রাম-রহিম সবার সম্পত্তি কাড়ছেন। গায়ের জোরে। গভর্মেন্ট অফ ইন্ডিয়া এত তাড়া কীসের? বাংলাদেশের পরিস্থিতি জানেন না? ইউনূসের সঙ্গে গোপন মিটিং করুন। দেশের ভালো হলে খুশি হব। কিন্তু আপনার প্ল্যানটা কী? এজেন্সির মাধ্যমে লোক নিয়ে এসে দাঙ্গা করা? বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে এসেছে, এর দায়িত্ব বিএসএফের। বাংলার না। আপনাকে কৈফিয়ত দিতে হবে কেন এদের আটকাতে পারলেন না। আপনি চান হিন্দু-মুসলমান ভাগাভাগি করতে? জনজাতি, শিখদের বিরুদ্ধে কথা বললে আপনি ছাড় পাবেন? ভাগ করবেন না, ভারতকে জুড়ুন। ভারতে একতা না থাকলে দেশ টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। মোদী যাওয়ার পর কী করবেন আপনি? আপনাকে তো হামাগুড়ি দিতে হবে। ওনাকে কন্ট্রোল করুন মোদীজি। উনি মিটিং করে মুর্শিদাবাদে গণ্ডগোল বাঁধিয়েছেন।"
এদিন কেন্দ্র সরকারের শরিক চন্দ্রবাবু নাইডু ও নিতিশকেও আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, "নিতিশ, চন্দ্রবাবু চুপচাপ বসে থাকেন। ভাবেন ক্ষমতা দিয়ে দেবে। এর জন্য নিজের রক্তও দিয়ে দেবেন। দুই তৃতীয়াংশ মেজরিটিতে এই বিল পাশ হওয়া উচিত ছিল। আপনারা সংবিধান সংশোধন করেননি। যা করেছে তাতে আমরা সমর্থন করিনি, আর করবও না। আমার অনুরোধ আপনারা শান্তি রক্ষা করুন। এটা বিজেপির প্ল্যান। রামনবমীর দিন করত। সেটা আপনারা ভেস্তে দিয়েছেন। সব সমাজে কিছু গদ্দার থাকে। টাকা দিয়ে যে ডালে বসে তাই কাটেন।"
বিএসএফকে আক্রমণ করে তাঁর আরও দাবি, বাংলাদেশের লোককে কেন ঢুকতে দিলেন? এটা দেখা বিএসএফের দায়িত্ব, রাজ্যের নয়। প্লেন চলছে। ট্রেন চলছে লোক আসছে। রাজ্যের কাছে কোনও তথ্য নেই।