তিনদিনের সফরে সোমবারই বর্ধমান গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার আসানসোলে কর্মীসভার পর আজ দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করলেন, আর এর মাঝেই পুর ও পঞ্চায়েত সদস্যদের উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যেতে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে নিজে ইট বয়ে রাস্তা তৈরি করুন, এমন বার্তাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে বিজেপিকে আক্রমণ শানাতেও দেখা গেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। বিরোধীদের ভয় দেখাতে সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে ফের একবার অভিযোগ করলেন মমতা। সেইসঙ্গে রাজ্যের জনমুখী প্রকল্পের কথাও তুলে ধরলেন। মমতা বলেন, 'গ্রামীণ রাস্তা ও বাংলার বাড়ির জন্য টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। কিন্তু রাস্তা সারাই করতেই হবে। এতে তার পরামর্শ, প্রয়োজনে নিজে ইট বয়ে কাজ করুন। আমিও ইট বয়েছি, রাস্তা সারাই করেছি, প্রয়োজনে আমায় ডাকবেন, আসবো।' বাংলায় জব কার্ডের মাধ্যমেই রাজ্য সরকার কাজ দেবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, "৬ মাস ধরে ১০০ দিনের টাকা পাচ্ছে না। রাজস্থানের বাড়ি হতে পারে, গুজরাতের বাড়ি হতে পারে। সব ভাষাতেই আমরা কথা বলি। যে বাংলার বাড়ি গুলো লিস্ট করে রেখেছেন। নতুন করে কোনো লিস্ট করবেন না। কেন্দ্র এখনও নতুন করে টার্গেট দেয়নি। যে বাড়ি গুলো ছিল সেগুলো মুছে দিয়েছে। আমি নিজে একবার দিল্লি যাবো। গিয়ে কথা বলব। কোন অপরাধে দোষী করা হল? যতদিন না টাকা দিচ্ছে, আমি সবাইকে অনুরোধ করব, বিভিন্ন দফতরের যে কাজ গুলো আছে, জব কার্ড হোল্ডার যারা আছে, তাদের দিয়ে আমরা কাজ গুলো করাব।''
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা রাজ্যকে দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের কাছে প্রতিনিধি দল পাঠানো পাশাপাশি সমস্যার সমাধান না হলে তিনি নিজেই দিল্লি যাবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি নাম বদল করলে কেন কেন্দ্র টাকা দেবে না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। "বাংলার বাড়ি" প্রকল্পে কেন্দ্র টাকা বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর।