Bangladesh Turmoil: বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ কাটেনি। উদ্বিগ্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে রাজ্যের সীমান্তে কড়া প্রহরা রাখা হয়েছে। বাংলাদেশে তৈরি হওয়া পরিস্থিতিতে পরবর্তী পর্যায়ে কী করা হবে তা নিয়ে মঙ্গলবার একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা, ডিজি রাজীব কুমার ও স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী ৷ বৈঠকে পুলিশকে সতর্কতামূলক নির্দেশ দেন মমতা।
হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা ভারতের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে চলেছে। উপরন্তু বাংলার সঙ্গে সীমান্ত লাগোয়া হওয়ায় চিন্তা বাড়ছে এই রাজ্য নিয়ে। মঙ্গলবারের বৈঠকে সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলিতে যাতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনও সমস্যা তৈরি না হয় তা নিয়ে আরও কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলিতে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সতর্ক করা হয়েছে ৷ প্রত্যেকদিন এ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে নবান্নকে ৷
মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ নিয়ে কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য বা কোনও ভুয়ো ভিডিও ছড়িয়ে যেন উত্তেজনা বাড়ানো না করা হয়। সাম্প্রদায়িকতামূলক পোস্ট না করা হয় সেই আবেদনও করেছিলেন। এমনকি মন্ত্রীদেরও ভেবেচিন্তে মন্তব্য করতে বলা হয়।
এছাড়া, যারা বাংলাদেশ থেকে সীমান্তবর্তী জেলা হয়ে এদেশে আসছেন, তাদের সম্পর্কে সমস্ত নথি রেজিস্টার করে ডেটাব্যাঙ্ক যেন তৈরি করা হয় সেই নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
সীমান্তের জেলাগুলি মালদা, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। এছাড়াও, কেন্দ্র থেকেও কিছু নির্দেশ আসে।
মঙ্গলবারের বৈঠকের পর রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয় । সেখানে সাধারণ মানুষকে বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা না দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়।