বাবাকে কুপিয়ে খুন
বাবাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল মদ্যপ ছেলের বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গিয়ে গুরুতর জখম মা, বৌদি ও আরও একজন। এমন ঘটনায় হতভম্ব এলাকাবাসী। দোষীর উপযুক্ত ও কড়া শাস্তির দাবি করেছেন।
পুণ্ডিবাড়িতে আতঙ্ক
কোচবিহার পুন্ডিবাড়ি থানার উত্তর খাগড়াবাড়ি এলাকার রাজা রামমোহন সরণি এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। পুন্ডিবাড়ি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বাবার নাম রূপকুনি কুমার দেব (৯৮)। অভিযুক্ত ছেলের নাম শম্ভু দেব। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
মদ খেয়ে হুজ্জোতি
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রূপকুনি কুমার দেবের চার ছেলে। এর মধ্যে অভিযুক্ত শম্ভু দেব তৃতীয় ছেলে। সে পেশায় ট্রাক চালক। মাঝে মধ্যেই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি আসত বলে জানা গিয়েছে। মদ খেয়ে হুজ্জোতি রোজকার ঘটনা।
রবিবারও মদ্যপ অবস্থায় তাণ্ডব শুরু
রবিবার রাতেও মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ফেরে অভিযুক্ত শম্ভু। এরপরেই কোনও কারণে বচসা শুরু হয়। বাড়ি থেকে একটি ধারাল দা হাতে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিতে শুরু করে। ওই সময় বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা মায়ের হাতে দা দিয়ে কোপ দেয়। বৃদ্ধ বাবা বাধা দিতে গেলে তার উপর চড়াও হয়। দা দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করে। ঘটনা দেখে বাড়িতে থাকা বড় ছেলের স্ত্রী বাধা দিতে আসলে প্রথমে তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় শম্ভু। এরপর তাকেও মাথার পিছনে কোপ দেয়। পরে খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে আসে আরেক ছেলে। মেজদার উপরও হামলা চালায় অভিযুক্ত।
হাসপাতালে মৃত্যু বৃদ্ধ রূপকুনির
ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য গৌতম পণ্ডিতের নেতত্বে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে সকলকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া হয়। বাবা অর্থাৎ রূপকুনি দেবের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাতে সেখানেই তিনি মারা যান। বাকিরা গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযুক্তের কঠিন শাস্তি দাবি ভাইপোর
অভিযুক্তের ভাইপো নিরঞ্জন দেব জানান, কাকার পরিবার পালিয়ে গিয়েছে। কাকাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ বাড়িতে গিয়ে রবিবার রাতেই শম্ভুকে গ্রেফতার করে। ধারালো অস্ত্রটিও বাজেয়াপ্ত করেছে। অভিযুক্তের কঠিন শাস্তি দাবি করেন তিনি।