আরজি কর কাণ্ডে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সন্দীপ ঘোষের ৮ দিনের সিবিআই হেফাজত। সিবিআই স্পেশাল বেঞ্চে ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন করা হলে ৮ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছে আদালত। গ্রেফতার হওয়া আফসার আলি খানের জামিনের আবেদনও খারিজ করা হয়েছে। অন্যরা জামিনের আবেদন করেননি। চার জনকে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে পেশ করা হবে।
এদিন আর্থিক দুর্নীতির মামলায় আলিপুর জাজেস কোর্টে ও নিজাম প্যালেসে তাঁকে ঘিরে 'চোর চোর' স্লোগান ওঠে। সোমবার রাতেই সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা তাঁদের গ্রেফতার করে।
দুর্নীতির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবারই তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে আনা হয় নিজাম প্যালেসে। তিনি হাইকোর্টে আবেদনও করেন। সেই মামলা দেওয়া হয় সিবিআই-এর হাতে। তারপর সেই দুর্নীতি নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ২৫ অগস্ট সকালে সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআইয়ের একটি দল। সেদিন বেশ কয়েক ঘণ্টা বাড়িতে তল্লাশি করা হয়। হাসপাতালে আর্থিক অনিয়মের মামলার তদন্তভারও সিবিআইয়ের হাতে দিয়েছে আদালত। আদালতের অনুমতিতেই সন্দীপ ঘোষের পরিলগ্রাফ টেস্টও করানো হয়।
এদিন সন্দীপ ঘোষকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে নিজাম প্যালেসের সিবিআই অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন ইউনিট সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে। এই ইউনিটটি নিজাম প্যালেসের অফিসে অবস্থিত। দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৪২০ ধারার এবং ৭ ধারার অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় সন্দীপ ঘোষকে।