Advertisement

ডুয়ার্সে হোটেল বুকিংয়ে নয়া বিধি! দুঃশ্চিন্তায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা

রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ হাজারের নীচে নেমেছে। কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। এই আবহে বদ্ধ জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এদিকে তৃতীয় ওয়েভ নিয়ে সতর্ক করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবহে জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন হোটল ও রিসর্টে পর্যটকরা এলে কিকি বিধি মানতে হবে তার নির্দেশিকা জারি করল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন।

হোটল ও রিসোর্টগুলকি  নির্দেশিকা পাঠাল জলপাইগুড়ি প্রশাসনহোটল ও রিসোর্টগুলকি নির্দেশিকা পাঠাল জলপাইগুড়ি প্রশাসন
রাজেন প্রধান
  • জলপাইগুড়ি,
  • 14 Jul 2021,
  • अपडेटेड 10:52 PM IST
  • রাজ্যে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে করোনা
  • এই পরিস্থিতিতে অনেকেই ডুয়ার্সে ঘুরতে যেতে চাইছেন
  • হোটল ও রিসোর্টগুলকি এই নিয়ে নির্দেশিকা পাঠাল জলপাইগুড়ি প্রশাসন


রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ হাজারের নীচে নেমেছে। কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। এই আবহে বদ্ধ জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এদিকে তৃতীয় ওয়েভ নিয়ে সতর্ক করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবহে জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন হোটল ও রিসর্টে পর্যটকরা এলে কিকি বিধি মানতে হবে তার নির্দেশিকা জারি করল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। 

 

 

আরও পড়ুন

সরকারি নির্দেশিকা
জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের জারি করা নির্দেশিকায় স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে ডুয়ার্সের পর্যটনস্থলে আসতে গেলে টিকাকরণের দুটি ডোজের সার্টিফিকেট লাগবে। নয়তো  ৪৮ ঘন্টা মধ্যে RT PCR রিপোর্ট নেগেটিভ থাকলে তবেই হোটেল এবং রিসর্টে প্রবেশাধিকার মিলবে। বুধবার এই নির্দেশিকার প্রকাশ করেলন জলপাইগুড়ির  জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু।  পর্যটকরা এই শর্ত না মানলে জলপাইগুড়ি জেলার কোন হোটেল অথবা রিসোর্টে থাকার অনুমকি মিলবে না বলে নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

টুরিস্ট স্পটগুলিতে ঘোরার ক্ষেত্রেও প্রশাসনের তরফে আগেই জারি করা হয়েছে একগুচ্ছ গাইডলাইন। এক্ষেত্রে ঢোকার মুখে পর্যটকদের হাত ধুয়ে বা স্যানিটাইজ করে নিতে হবে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। অন্যান্য পর্যটকদের থেকে ২ মিটারের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এড়িয়ে চলতে হবে ভিড়। যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলা যাবে না। তবে সরকারি এই নির্দেশিকা নিয়ে খুব একটা খুশি নয় হোটেল মালিকরা।  গরুমারা ট্যুরিজম ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের  সম্পাদক শ্রী  দেবকমল মিশ্র বলেন যে অনেকদিন পর এই ব্যবসাটি উঠকে  শুরু করেছিলো কিন্তু আবার এই পর্যটন ব্যবসা গ্রাফ নেমে যেতে শুরু করবে।  আমরা এ ব্যবসা কি করে সামাল দেব,  কি করে খরচ বহন করব কিছুই বুঝতে পারছি না ।

 

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ জন। এদিকে রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩১ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ লক্ষ ১৪ হাজার ৭০৮। জেলাগুলোর মধ্যে মোট দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। তার পরই রয়েছে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি। তবে ভাল খবর, রাজ্যে এক ধাক্কায় অনেকটাই কমল সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা। মঙ্গলবার যেখানে সংখ্যাটা ছিল ১৪ হাজারের উপর, বুধবার সেটাই ১৩ হাজারের নীচে নেমে এসেছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুধবারের বুলেটিন অনুযায়ী সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ১২ হাজার ৯৮৪।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement