CPIM Paharay Public: পাহারায় পাবলিক। জনসংযোগে সিপিআইএমের নয়া হাতিয়ার। এই কর্মসূচির মাধ্যমে 'নজরদারি' চালানো হবে তৃণমূলের ওপর। মুলত অল্প সময়ের মধ্যে ফুলে-ফেঁপে ওঠা তৃণমূল নেতাদের ব্য়াপারে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এবং তা সবার সামনে প্রকাশ করা হবে। সেই কাজ শুরু করে দিয়েছে সিপিআইএম।
রামপুরহাটের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে সবাইকে। অভিযোগ, সেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন মানুষের। সেখানকার তৃণমূল নেতাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি বা সম্পত্তি চোখ ধাঁধানো। এমন নেতাদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করে সবার কাছে প্রকাশ করবে সিপিআইএম।
উদ্যোক্তা সিপিআইএম ডিজিটাল
সিপিআইএম ডিজিটাল-এর তরফ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারা একটা বার্তা দিয়েছে, 'রাজ্যজুড়ে তৃণমূলী নৈরাজ্যের অবসান ঘটাতেই প্রত্যেকটি এলাকায় ভলেন্টিয়ার এগিয়ে আসুন পশ্চিমবঙ্গের বুকে দ্বিতীয় রামপুরহাট হওয়ার আগে আপনার অঞ্চলে ভাদু শেখের মত আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ তৃণমূল নেতাদের চিহ্নিত করতে এবং রাজ্যজুড়ে বেআইনি অস্ত্র কারবারি লাগাম টানতে সাহায্য করুন সিপিআইএমকে।'
আরও পড়ুন: সোনাঝুরি হাট আপাতত সপ্তাহে দু'দিন, সাজিয়ে তুলবে পুরসভা
আরও পড়ুন: চকচকে ত্বক পেতে লবঙ্গের তেল ম্যাজিকের মতো কাজ করে
সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়েছেন
সিপিআইএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র নিজের ফেসবুক প্রোফাইলেও ওই বার্তা এবং লিঙ্কটি শেয়ার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন অভিযোগকারীর নাম ও অন্যান্য যাবতীয় তথ্য সম্পূর্ণভাবে গোপন ও সুরক্ষিত থাকবে। তিনি লিখেছিলেন, "আপনার অঞ্চলে ভাদু শেখের মতো আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়া তৃণমূল নেতাদের চিহ্নিত করতে এই ফর্মটি ফিলাপ করে জমা দিন। আপনার নাম ও অন্যান্য যাবতীয় তথ্য় সম্পূর্ণ ভাবে গোপন ও সুরক্ষিত থাকবে।"
অভিযোগ জানাবেন কী করে?
কীভাবে অভিযোগ জানাতে হবে? সিপিআইএম ডিজিটালের ভলেন্টিয়ারদের ওয়েবসাইটে গিয়ে অভিযোগ জানানো যেতে পারে। সেখানে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। সেখানে বিভিন্ন তথ্য দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছ কোন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর আগের পেশা কি ছিল, অভিযুক্তের রাজনৈতিক পরিচয়- এরকম কিছু তথ্য। সেখানে জমা দেওয়া যেতে পারে।
মহম্মদ সেলিমের দাবি
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম দাবি করেছেন, একদিনের মধ্যেই কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক এই তথ্য সংগ্রহের কাজে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। একদিনেই কয়েকশো অভিযোগ জমা পড়েছে। রাজ্য থেকে তৃণমূলের ব্যাপারে তথ্য আসছে সিপিআইএমের কাছে।
তিনি জানান, সিপিআইএম দায়িত্ব নিয়েছে তা মানুষকে জানানোর আসার পর সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে এবং চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করা হবে। এবং সেই রিপোর্ট জনগণের কাছে তুলে ধরা হবে। এই তথ্য সংগ্রহের কাজে বিজেপিকেও বাদ রাখা হবে না।