Cyclone Dana Facts: কালীপুজোর আগেই আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা(Cyclone Dana) আসছে। এর প্রভাবে বাংলার বেশ কিছু জেলায় ভারী-অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ঝড়ের প্রভাব তো থাকছেই। যে কোনও ঘূর্ণিঝড়ের আগে তাই নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম হয়। এই প্রতিবেদনে এমনই বেশ কিছু প্রশ্নের সহজ, স্পষ্ট উত্তর পাবেন। বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে, আবহাওয়াবিদদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী প্রতিবেদনটি লেখা। আসুন সময় নষ্ট না করে জেনে নেওয়া যাক ঘূর্ণিঝড় দানার বিষয়ে।
এখন ঘূর্ণাবর্ত কোথায়(Cyclone Dana Location Now)?
গত ১৯ অক্টোবর আন্দামানের সাগরের কেন্দ্রস্থলে ঘূর্ণাবর্তটি অবস্থান করছিল। এরপর ২০ অক্টোবর সকাল ৫:৩০ IST-এ উত্তর অন্দামান সাগরের দিকে অগ্রসর হয়েছে।
এটি ক্রমশ পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২২ অক্টোবরের মধ্যে একটি নিম্নচাপ ও ২৩ অক্টোবরের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
সাইক্লোন দানার LIVE লোকেশন ট্র্যাক করুন(Click Here)
সাইক্লোন দানার ল্যান্ডফল কোথায় হবে?
ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল বরাবর ২৪ অক্টোবরের সকাল নাগাদ পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে ২৩ থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আপাতত মনে করা হচ্ছে, ওড়িশা উপকূলেই ল্যান্ডফল হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের।
নিচের ম্যাপে ডানার সম্ভাব্য গতিপথ জানতে পারবেন:
উপরের ছবি থেকেই বুঝতে পারছেন, এর ব্যাপ্তি ঠিক কতটা।
নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে
hPa মানে hectopascal, বায়ুর চাপের একক। সাধারণ অবস্থায় 1013 hPa হচ্ছে গড় বায়ুর চাপ। এদিকে 1000-এর আশেপাশে থাকা মানে নিম্নচাপ। এক্ষেত্রে প্রায় ১০০৩-১০০৪-এর আশেপাশেই বায়ুর চাপ থাকছে।
বায়ুর গতিও বেশি
উইন্ডির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঝড়ে হাওয়ার দাপট 30 kt(নট) পর্যন্ত যেতে পারে। সাধারণ অবস্থায়, মৃদু বায়ুর বেগ ১০-১৬-র মধ্যে থাকে। ফলে বায়ুর গতি কেমন হতে পারে, আন্দাজ করতেই পারছেন। অন্য়দিকে, ল্যান্ডফলের পরপরই তা শক্তি হারিয়ে ফেলবে। সেটাই স্বাভাবিক নিয়ম। তখন বায়ুর গতি কমে ২৩ kt-তে দাঁড়াবে।
বাংলায় এর কী প্রভাব পড়বে?
বাংলায়, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঘূর্ণিঝড় দানা প্রভাব ফেলবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের ২০ অক্টোবর ২০২৪-এ প্রকাশিত স্পেশাল বুলেটিন অনুযায়ী, বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস:
সূত্র: আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, উইন্ডি ডট কম।
সাইক্লোনের বিষয়ে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকের বক্তব্য শুনুন: