Michaung Cyclone: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম-এর তীব্রতার বিষয়ে সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণ-পশ্চিম এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে।
গত প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে ১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে ঘূর্ণিঝড় অগ্রসর হচ্ছে। ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩-এ ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ এটি দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পার্শ্ববর্তী উত্তর তামিলনাড়ুর উপকূল ও দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর কেন্দ্রীভূত হয়েছে।
এখন কোথায় রয়েছে
সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, ঝড়টি অক্ষাংশ 13.2°N এবং দ্রাঘিমাংশ 81.2°E, চেন্নাইয়ের প্রায় ১১০ কিমি পূর্ব-উত্তর-পূর্বে, নেলোরের ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, পুদুচেরির ২১০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে, বাপাতলার ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে। মাছিলিপত্তনমের ৩৩০ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান ঘূর্ণিঝড়ের।
আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকদের পূর্বাভাস, উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যেতে পারে মিগজাউম। ৪ ডিসেম্বর ২০২৩-এর দুপুরে এটি আরও তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এরপর ঘূর্ণিঝড় প্রায় উপকূলের সঙ্গে সমান্তরালভাবে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলের কাছাকাছি, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩-এ দুপুরে নেলোর এবং মাছিলিপত্তনমের মাঝামাঝি অঞ্চলে, বাপটলার কাছাকাছি ল্যান্ডফল হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের।
IMD-র হিসাব অনুযায়ী, Michaung একটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ল্যান্ডফলের এলাকার আশেপাশের বাসিন্দাদের আবহাওয়া বুলেটিনে নজর রাখতে এবং নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে হাওয়া অফিস।
মিগজাউমের পশ্চিমবঙ্গে প্রভাব:
যেহেতু এই ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান ও ল্যান্ডফল দক্ষিণবঙ্গ থেকে অনেকটাই দূরে, সেহেতু খুব বেশি কিছু প্রভাব পড়বে না। তবে এর পরোক্ষ প্রভাবে সামান্য বৃষ্টিপাত ও মেঘলা আকাশ থাকতে পারে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে।
৫ ডিসেম্বর, ২০২৩: ঝাড়গ্রাম, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা।
৬-৭ ডিসেম্বর, ২০২৩: উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত।
কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে।